গোলাম কাসেম ড্যাডির জন্ম ১৮৯৪ সালের ৫ নভেম্বর, ভারতের জলপাইগুড়িতে। বাংলাদেশের প্রবীণতম আলোকচিত্রী ও প্রথম বাঙালি মুসলমান ছোটগল্পকার। জন্মের কয়েক ঘণ্টা পরেই তার মায়ের মৃত্যু হয়। হাওড়া থেকে ১৯১২ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ থেকে আইএ। ১৯১৫ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যোগদানের কারণে লেখাপড়া সমাপ্ত হয়ে যায়। ১৯১৯ সালে সাব-রেজিস্ট্রার পদে যোগদান করেন। ফটোগ্রাফিতে হাতেখড়ি হয় ১৯১২ সালে। পূর্ব পাকিস্তানে প্রথম ফটোগ্রাফি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ‘ট্রপিক্যাল ইনস্টিটিউট অব ফটোগ্রাফি’ প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৫১ সালে। ফটোগ্রাফি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি মাত্র দুই বছর চালু ছিল। ১৯৬৩ সালে ‘ক্যামেরা রিক্রিয়েশন ক্লাব’ নামে একটি ফটোগ্রাফি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। তার লেখা ছোটগল্প সওগাত পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশিত হতো। পরবর্তী সময়ে আলোকচিত্র নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় ছোটগল্পের আলাদা কোনো বই প্রকাশ করতে পারেননি। তবে ফটোগ্রাফি নিয়ে লিখেছেন একাধিক বই। যার মধ্যে রয়েছে ১৯৭১ সালে প্রকাশিত ক্যামেরা, ১৯৮৬ সালে ক্যামেরা রিক্রিয়েশন ক্লাব কর্তৃক প্রকাশিত এক নজরে ফটোগ্রাফী এবং ২০০২ সালে পাঠশালা দৃক কর্তৃক প্রকাশিত সহজ আলোকচিত্ৰণ। সম্মানসূচক ফেলো বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ফটোগ্রাফিক কাউন্সিল (ফটোগ্রাফি), নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক (সাহিত্য) অর্জন করেন। ৯ জানুয়ারি ১৯৯৮ সালে ১০৩ বছর বয়সে তিনি সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। এই বাংলার ফটোগ্রাফির ইতিহাস পরিপূর্ণভাবে রচনার ক্ষেত্রে তিনি আমাদের কালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলোকচিত্রশিল্পী। বাংলা ভাষায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফটোগ্রাফির বই বলে আমরা বিশ্বাস করি। —প্রকাশক
Title
পূর্ব বাংলার ফটোগ্রাফি:রাজসাক্ষী গোলাম কাশেম ড্যাডি
১৯৭২-এ নাসির আলী মামুন বাংলাদেশে পােট্রেট ফটোগ্রাফির সূচনা। করেন। আমাদের কালের শ্রেষ্ঠ মানুষদের বিভিন্ন দুর্লভ মুহূর্তগুলাে। অত্যন্ত পারদর্শিতার সঙ্গে ধরে রেখেছেন আলােকচিত্রে এবং তার । ক্যামেরায় ধারণ করা খ্যাতিমানদের পােট্রেটের আলাে-আঁধারের | ঐশ্বরিক স্পর্শ তাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও সুনাম এনে দিয়েছে। বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের সাক্ষাকার গ্রহণের অভিনবত্বের পাশাপাশি ঘর। নাই' শিরােনামে তাঁর নেয়া গৃহহীনদের সাক্ষাঙ্কার সিরিজটি বাঙালি। পাঠকদের বিশেষ আগ্রহের বিষয়। এক্ষেত্রে তিনি এক নতুন ঘরানার। জন্ম দিয়েছেন। প্রকাশিত গ্রন্থ ১০টি। দেশে ও বিদেশে একক। আলােকচিত্র প্রদর্শনীর সংখ্যা ৫৩টি। একাধিকবার ভ্রমণ করেছেন। ইউরােপ-আমেরিকার বহু দেশ। আলােকচিত্রে বন্দি করেছেন। সেইসব দেশের অনেক বরেণ্য ব্যক্তিকে। 'ফটোজিয়াম’ নামে। ফটোগ্রাফির জাদুঘর প্রতিষ্ঠার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। ১৯৫৩-। এর ১ জুলাই ঢাকায় নাসির আলী মামুনের জন্ম ।