প্রথম সাহিত্যকর্ম ‘একটি ফুলের কবর’ গ্রন্থখানি প্রকাশের প্রয়াস পাই। লেখালেখির অভ্যাস শৈশব থেকেই। দীর্ঘদিনের মনের অভিলাষ আমার সৃষ্টি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিব। সেই লক্ষ্যে ২০২১-এর অমর একুশে গ্রন্থমেলা সামনে রেখে সৃষ্টির সৌষ্ঠব দিতে পদক্ষেপ নিলাম। প্রকাশের পথে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি অধ্যক্ষ জনাব ওমর ফারুক ভাইকে (মাতৃভূমি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কুমিল্লা)। যিনি আমার পাশে থেকে আমাকে উদ্দীপনা যুগিয়েছেন এবং পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করেছেন। আরো স্মরণ করছি বয়োজ্যেষ্ঠ মুরব্বি জনাব রুহুল আমীন সেলিম (অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা) ভাইকে, যিনি আমাকে ব্যাপক উদ্দীপনা দিয়েছেন বই প্রকাশের ক্ষেত্রে। আর যার কথা না বললেই নয়Ñ স্বর্ণা আক্তার টুম্পা, আমার অর্ধাঙ্গিনী যিনি আমার প্রেরণার বটমূল। পাঠক সমাজের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অনুরোধ করছি একটি ফুলের কবর গ্রন্থখানি সংগ্রহে রাখবেন। এখানে আপনারা ভিন্ন কিছু খুঁজে পাবেন ইনশাআল্লাহ, যা আপনার মনের খোরাক যোগাবে। মানুুষ তার দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিরূপ। আপনার দৃষ্টিভঙ্গির কিয়দংশ সন্নিবেশিত আছে এখানে। মানুষসহ জগতের সকল জীবের টেকসই উন্নয়ন ও সুস্বাস্থ্য কামনা করছি ইনশাআল্লাহ।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ ও ইলেক্টনিক কৌশলে স্নাতক ও মাস্টার্স এবং জাপান থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্কে অধ্যাপনার পাশাপাশি বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। ইতোপূর্বে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্বের কিছু নামি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা ও গবেষণা-কর্মে নিয়োজিত ছিলেন। শিক্ষকতা ও গবেষণায় উৎকর্ষ অর্জনের পাশাপাশি সৃজনশীল সাহিত্য ও শিল্পকলায় নিমগ্ন থেকেছেন সারাজীবন। নাটক লেখার পাশাপাশি গল্প, কবিতা, গান ও প্রবন্ধ লেখেন। নির্দেশনা, অভিনয়, মঞ্চসজ্জা, পোশাক, রূপসজ্জা, আলোক ও শব্দ পরিকল্পনাসহ নাটকের সকল মাধ্যমে কাজ করেন। সেই সঙ্গে আবৃত্তি ও উপস্থাপনায় মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। তার আরেকটি বড় পরিচয় সংগঠক হিসেবে। দেশে ও প্রবাসে বহু সাংস্কৃতিক সংগঠনের সৃষ্টি ও কর্মকাণ্ডে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য-রঙ্গালয়, শিল্পাঙ্গণ ইত্যাদি। এছাড়া দেশে ও প্রবাসে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন।