এ বইটিতে আমি একটি উদীয়মান বিজ্ঞানের ওপর থেকে পর্দা তােলার চেষ্টা করি, যেটি প্রায় প্রতিদিনই আমাদের আন্তঃব্যক্তিক জীবনে চমকপ্রদ অন্তদৃষ্টি প্রকাশ করে। এই নতুন শৃঙ্খলার সর্বাধিক মুখ্য উদঘাটন : আমরা যােগাযােগ করার জন্য একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ। স্নায়ুবিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে, আমাদের মস্তিষ্কের নিজস্ব নকশা এটিকে মিশুক করে তােলে, যখনি আমরা অন্য কোনাে ব্যক্তির সঙ্গে নিযুক্ত হই তখন অবিচ্ছিন্নভাবে একটি অন্তরঙ্গ মস্তিষ্ক থেকে আরেকটি মস্তিষ্কের দিকে নিম্নগতিতে ধাবিত হয়। এমনকি আমাদের বেশিরভাগ রুটিন বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে, আমাদের আবেগকে প্রাথমিক করে তােলে, কিছু আকাক্ষিত হলেও কিন্তু বাকিগুলাে নয়। আমাদের সর্বাধিক শক্তিশালী বিনিময় সেই ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘটে থাকে যাদের সঙ্গে আমরা বছরের পর বছর দিনের সবচেয়ে বেশি সময় ভিতরে এবং বাইরে ব্যয় করি। বিশেষত আমরা তাদের জন্য সবচেয়ে বেশি পরােয়া করি। এই স্নায়ুবিক সংযুক্ত হওয়ার সময়, আমাদের মস্তিষ্কগুলাে একটি সংবেদনশীল ট্যাঙ্গোতে, অনুভূতিগুলাে এক ধরনের নাচন প্রক্রিয়াতে যােগদান করে। আমাদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে, আন্তঃব্যক্তিক তাপস্থাপকের মতাে ক্রমাগত আমাদের মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপের মূল দিকগুলাে পুনরায় অবস্থান করার কারণ তারা আমাদের আবেগগুলােকে সমন্বিত করে। ফলস্বরূপ অনুভূতিগুলাে সুদূরপ্রসারী পরিণতি পায়, যা আমাদের সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয় এবং হরমােনের প্রপাতগুলাে প্রেরণ করে আমাদের হৃদয় থেকে আমাদের প্রতিরােধক কোষগুলােতে জৈবিক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে। সম্ভবত সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলাে, বিজ্ঞান এখন সবচেয়ে জটিল সম্পর্ক এবং নির্দিষ্ট জিনগুলাের ক্রিয়াকলাপের মধ্যে সম্পর্ক চিহ্নিত করার মাধ্যমে প্রতিরােধ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যাপারটি আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, আমাদের সম্পর্কগুলাে শুধু অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নয় আমাদের জীবতত্ত্বের ভিত্তিতেও সৃষ্টি হয়। মস্তিষ্ক থেকে মস্তিষ্কের সংযােগটি আমাদের মজবুত সম্পর্কগুলােকে এমন প্রসন্ন রূপ দেয় যেন আমরা একই ঠাট্টা-তামাশায় হাসি কিনা বা জিনগুলাে টি-কোষে সক্রিয় হওয়ার মতাে গভীর কিনা, রােগ প্রতিরােধক ব্যবস্থাপনার পাদদেশের সৈনিকরা অনবরত ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য লড়াই করতে থাকে। সেই সংযােগস্থলটি একটি দ্বি-প্রান্ত তলােয়ারের মতাে : সুস্থ ও স্বাভাবিক সম্পর্কগুলাে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর কল্যাণকর প্রভাব ফেলে, অপরদিকে বিষাক্ত সম্পর্কগুলাে আমাদের দেহে ধীরগতির বিষের মতাে কাজ করতে পারে। কার্যত সব বড় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার আমি এই পরিমাণে কাজে লাগিয়েছিলাম যখন ১৯৯৫ সালে ইমােশনাল ইন্টেলিজেন্স আবির্ভূত হয়েছিল এবং তারা দ্রুততর গতিতে শীর্ষে অবস্থান করতে থাকে। যখন আমি ইমােশনাল ইন্টেলিজেন্স লিখেছিলাম, আমার লক্ষ্য ছিল মানুষের কার্যক্ষমতাকে আমাদের ভিতর স্বতন্ত্র হিসেবে গড়ে তােলা, আমাদের নিজস্ব অনুভূতিগুলাে পরিচালনা করার দক্ষতা এবং ইতিবাচক সম্পর্কের জন্য আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্ভাবনা গড়ে তােলা। এখানে চিত্রটি একক ব্যক্তির নিজস্ব মনােবিজ্ঞানের বাইরেও প্রসারিত করে। এই ক্ষমতাগুলাে একজন ব্যক্তির মধ্যে থেকে দুটি ব্যক্তির মনােবিজ্ঞান থাকে : আমরা সংযুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা স্থানান্তরিত হয়। আমি এই বইটিকে ইমােশনাল ইন্টেলিজেন্সের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে রাখার পরিকল্পনা করি, মানব জীবনের একই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন দিক থেকে। বিশ্লেষণ করি, যেজন্য আমরা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনকে ব্যাপকভাবে উপলব্ধি করি। আমরা যখন যােগাযােগ করি তখন সেই সংক্ষিপ্ত মুহূর্তগুলাে থেকে দৃষ্টিভঙ্গি স্থানান্তরিত হবে। এসব গভীর পরিণতিতে আমরা বুঝতে পারি যে, কীভাবে এসবের মােট পরিমাণের ওপর নির্ভর করে আমরা একে অপরকে তৈরি করি। "সোশ্যাল ইন্টেলিজেন্স" বন্ধুভাবাপন্ন মস্তিষ্ক অংশ থেকে নেয়াঃ এ বইটিতে আমি একটি উদীয়মান বিজ্ঞানের ওপর থেকে পর্দা তােলার চেষ্টা করি, যেটি প্রায় প্রতিদিনই আমাদের আন্তঃব্যক্তিক জীবনে চমকপ্রদ অন্তদৃষ্টি প্রকাশ করে। এই নতুন শৃঙ্খলার সর্বাধিক মুখ্য উদঘাটন : আমরা যােগাযােগ করার জন্য একে অপরের সঙ্গে আবদ্ধ। স্নায়ুবিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে যে, আমাদের মস্তিষ্কের নিজস্ব নকশা এটিকে মিশুক করে তােলে, যখনি আমরা অন্য কোনাে ব্যক্তির সঙ্গে নিযুক্ত হই তখন অবিচ্ছিন্নভাবে একটি অন্তরঙ্গ মস্তিষ্ক থেকে আরেকটি মস্তিষ্কের দিকে নিম্নগতিতে ধাবিত হয়। এমনকি আমাদের বেশিরভাগ রুটিন বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে মস্তিষ্কে নিয়ামক হিসেবে কাজ করে, আমাদের আবেগকে প্রাথমিক করে তােলে, কিছু আকাক্ষিত হলেও কিন্তু বাকিগুলাে নয়। আমাদের সর্বাধিক শক্তিশালী বিনিময় সেই ব্যক্তিদের সঙ্গে ঘটে থাকে যাদের সঙ্গে আমরা বছরের পর বছর দিনের সবচেয়ে বেশি সময় ভিতরে এবং বাইরে ব্যয় করি। বিশেষত আমরা তাদের জন্য সবচেয়ে বেশি পরােয়া করি। এই স্নায়ুবিক সংযুক্ত হওয়ার সময়, আমাদের মস্তিষ্কগুলাে একটি সংবেদনশীল ট্যাঙ্গোতে, অনুভূতিগুলাে এক ধরনের নাচন প্রক্রিয়াতে যােগদান করে। আমাদের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে, আন্তঃব্যক্তিক তাপস্থাপকের মতাে ক্রমাগত আমাদের মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপের মূল দিকগুলাে পুনরায় অবস্থান করার কারণ তারা আমাদের আবেগগুলােকে সমন্বিত করে। ফলস্বরূপ অনুভূতিগুলাে সুদূরপ্রসারী পরিণতি পায়, যা আমাদের সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয় এবং হরমােনের প্রপাতগুলাে প্রেরণ করে আমাদের হৃদয় থেকে আমাদের প্রতিরােধক কোষগুলােতে জৈবিক ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে। সম্ভবত সবচেয়ে বিস্ময়কর ব্যাপার হলাে, বিজ্ঞান এখন সবচেয়ে জটিল সম্পর্ক এবং নির্দিষ্ট জিনগুলাের ক্রিয়াকলাপের মধ্যে সম্পর্ক চিহ্নিত করার মাধ্যমে প্রতিরােধ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে। ব্যাপারটি আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, আমাদের সম্পর্কগুলাে শুধু অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে নয় আমাদের জীবতত্ত্বের ভিত্তিতেও সৃষ্টি হয়। মস্তিষ্ক থেকে মস্তিষ্কের সংযােগটি আমাদের মজবুত সম্পর্কগুলােকে এমন প্রসন্ন রূপ দেয় যেন আমরা একই ঠাট্টা-তামাশায় হাসি কিনা বা জিনগুলাে টি-কোষে সক্রিয় হওয়ার মতাে গভীর কিনা, রােগ প্রতিরােধক ব্যবস্থাপনার পাদদেশের সৈনিকরা অনবরত ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে আক্রমণের জন্য লড়াই করতে থাকে। সেই সংযােগস্থলটি একটি দ্বি-প্রান্ত তলােয়ারের মতাে : সুস্থ ও স্বাভাবিক সম্পর্কগুলাে আমাদের স্বাস্থ্যের উপর কল্যাণকর প্রভাব ফেলে, অপরদিকে বিষাক্ত সম্পর্কগুলাে আমাদের দেহে ধীরগতির বিষের মতাে কাজ করতে পারে। কার্যত সব বড় বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার আমি এই পরিমাণে কাজে লাগিয়েছিলাম যখন ১৯৯৫ সালে ইমােশনাল ইন্টেলিজেন্স আবির্ভূত হয়েছিল এবং তারা দ্রুততর গতিতে শীর্ষে অবস্থান করতে থাকে। যখন আমি ইমােশনাল ইন্টেলিজেন্স লিখেছিলাম, আমার লক্ষ্য ছিল মানুষের কার্যক্ষমতাকে আমাদের ভিতর স্বতন্ত্র হিসেবে গড়ে তােলা, আমাদের নিজস্ব অনুভূতিগুলাে পরিচালনা করার দক্ষতা এবং ইতিবাচক সম্পর্কের জন্য আমাদের অভ্যন্তরীণ সম্ভাবনা গড়ে তােলা। এখানে চিত্রটি একক ব্যক্তির নিজস্ব মনােবিজ্ঞানের বাইরেও প্রসারিত করে। এই ক্ষমতাগুলাে একজন ব্যক্তির মধ্যে থেকে দুটি ব্যক্তির মনােবিজ্ঞান থাকে : আমরা সংযুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা স্থানান্তরিত হয়।
Daniel Goleman (born March 7, 1946) is an author and science journalist. For twelve years, he wrote for The New York Times, reporting on the brain and behavioral sciences. His 1995 book Emotional Intelligence was on The New York Times Best Seller list for a year-and-a-half, a best-seller in many countries, and is in print worldwide in 40 languages. Apart from his books on emotional intelligence, Goleman has written books on topics including self-deception, creativity, transparency, meditation, social and emotional learning, ecoliteracy and the ecological crisis, and the Dalai Lama’s vision for the future.