গ্রেট গেমসের বিশৃঙ্খলার পর রাজকীয় পৃথিবীতে শুরু হলো নতুন নাটকীয়তা। নিজের বাড়িতে ছত্রিশ ঘন্টার একটা ঘুম থেকে উঠেই ক্যাপ্টেন জ্যাক ওয়েস্ট জানতে পারে তার পিছু নিয়েছে ভয়ানক গোল্ডেন এইটের নাইটরা। সেই সাথে আছে রাজকীয় দুনিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা। ধরা পড়লে তাকে যেতে হবে এরেবাসে। যার অবস্থান কেউ জানে না। আর এরেবাস থেকে কেউ কখনও বেঁচেও ফেরেনি। এদিকে তিন গোপন শহরের সন্ধানে বেরিয়েছে ভূমি রাজ্যের রাজা অরলান্ডো। জ্যাকের ওপর দায়িত্ব এসে পড়েছে তাকে থামানোর। নয়তো বাস্তব হবে এক প্রাচীন অভিশাপ। গ্রিক পুরাণের ভয়ানক এক দেবী আবার হানা দেবে পুরো বিশ্বে। জ্যাক কি পারবে তিন গোপন শহরের সন্ধান করতে? সেই সাথে তাকে বের করতে হবে তিন অমর অস্ত্রও। কিন্তু তার পেছনে যে শত্রুপক্ষ ওত পেতে আছে। জ্যাক ওয়েস্ট জুনিয়ারের এবারের যুদ্ধটা সারা পৃথিবীর জন্য। “অ্যাডভেঞ্চার থ্রিলার হিসাবে এক কথায় দুর্দান্ত।”—জেমস রলিন্স “ম্যাথিউ রাইলির মতো অ্যাকশন কেউ লেখে না।” --ভিন্স ফ্লিন “এমন একটি বই যা আপনাকে রাতে ঘুমাতে দেবে না, শেষ না করে হাত থেকে নামিয়ে রাখা রীতিমতো অসম্ভব, যেখানে সব নিয়ন্ত্রণ রাইলির।” –ব্র্যাড থর “পুরোদস্তুর উত্তেজনায় ভরপুর এক বই।” –শিকাগো সান টাইমস “রাইলির উপন্যাস যেন আমেরিকায় নতুন রোলার কোস্টার চালু হবার মতো। যেখানে বিমোহিত দর্শকদের লম্বা সারি তৈরি হচ্ছে।” –বুকলিস্ট
পুরাে নাম ম্যাথিউ জন রাইলি। ১৯৭৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। সিডনির সেন্ট আলােয়সিয়াস কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করে প্রথম উপন্যাস লেখার কাজে হাত দেন লেখক। মাত্র ১৯ বছর বয়সে কন্টেস্ট নামক উপন্যাসের মাধ্যমে লেখার জগতে পা রাখেন। যদিও বইটি প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার কোনাে বড়াে প্রকাশনীই প্রকাশ করতে চায়নি। অতঃপর নিজেই ব্যাংক। থেকে লােন নিয়ে বইয়ের ১০০০ কপির মতাে। ছাপিয়েছিলেন, প্রকাশনী ছাড়াই। এরপর আর কখনাে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তাঁর হাত ধরেই এসেছে ইন্টারন্যাশনাল বেস্টসেলার স্কেয়ারক্রো এবং জ্যাক ওয়েস্ট সিরিজ দুটি। এছাড়াও টেম্পল, হােভার কার রেসার, দ্য টুর্নামেন্ট, ট্রল মাউন্টেইন এবং দ্য গ্রেট জু অফ চায়নার মতাে বেশ কয়েকটি বেস্টসেলার একক উপন্যাসও লিখেছেন। রাইলির বইগুলাে প্রায় ২০টি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং বিশ্বজুড়ে প্রায় সাত মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছে।