সমর্পিত সন্ধ্যার গান - গানেরা সমর্পিত হয় যে সন্ধ্যার কাছে। নাকি যে সন্ধ্যা নিজেকে সমর্পণ করে গানের গহনে, খোঁজে মা খাদিজার চাদর। 'দৈনিক বেঁচে ফেরা মানুষ' কত জোরে কণ্ঠ ছাড়তে পারে - এমন প্রশ্নে আমার কাছে একটাই উত্তর থাকে। কবিতার কণ্ঠ যতটা উচ্চকিত হলে তার প্রেম, প্রতিবাদ, আকাঙ্খ অনিবারিত হয়, ঠিক ততটাই। আর এই কণ্ঠধারী মানুষকেই আমি কবি বলি। সানোয়ার রাসেল তেমনি এক মানুষকবি। কবিতা নিয়ে তার যৌক্তিক তর্ক ও তপস্যা- দুটিই আমাকে ঈর্ষান্বিত করে। বিজ্ঞাপনের জন্যে উচ্চকিত শংসা বাণী অথবা নির্ধারিত সুরে তেলাওয়াত; কোনটাই তার কবিতার জন্যে প্রয়োজন আছে বলে মনে করি না। 'জীবনমুখী পোকার পাখায়' ভর করা যে রুহু কবিতাকে অনুবাদ করে বহুবিধ ভাষায় তার কবিতা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নাই। 'সমর্পিত সন্ধ্যার গান' পড়তে পড়তে শুধু কবি আল্লামা ইকবালের কবিতার একটি অংশ মনে এসেছিল...। “জ্ঞান আমাকে বলল, প্রেম হলো পাগলামি” প্রেম আমাকে বলল, জ্ঞান হলো হিসাব নিকাশ ও হিসাব নিকাশের ক্রীতদাস, বইয়ের পোকা হয়ো না! প্রেম পুরোটাই উপস্থিত, জ্ঞান কিছুই না কেবল একটা আবরণ। কেন মনে হয়েছিল, তা আমি জানি। এবার পাঠকের কী মনে হয় তা জানবার অপেক্ষায় রইলাম আমি নিজেও...। নাহিদা আশরাফী