কাদের জন্যে এই বইটি? ১) যারা ক্যারিয়ারে উন্নতি চান ২) যারা শিক্ষাজীবন শেষে চাকরির জন্য এক ধাপ এগিয়ে থাকতে চান ৩) যারা উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চান ৪) যারা নিজের ব্র্যান্ড তৈরি করে চাকরির পাশাপাশি কিছু আয় করতে চান ৫) যারা Influencer হতে চান ৬) যারা strong professional network গড়ে তুলতে চান
পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং কেন করবেন? আমরা তিনজন, তিন প্রজন্মের মানুষ। একজনের ক্যারিয়ারের শুরু হয়েছে যখন বাংলাদেশে ফেসবুক সামান্য একটি ওয়েবসাইট ছিলো, একজনের ক্যারিয়ারের শুরুতে বাংলাদেশে ফেসবুক মার্কেটিং হয়ে উঠেছে ক্যারিয়ার, এবং একজনের ক্যারিয়ারের শুরুতে ফেসবুকে মজার কন্টেন্ট বানানোকেই পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছেন বাংলাদেশিরা!
সময়ের আগে আগে সোশ্যাল মিডিয়ার গুরুত্ব বুঝে, অফলাইন ও অনলাইন জগতে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং করে উপকৃত হয়েছি আমরা তিনজনেই। আমাদের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা, ও সফল পার্সোনাল বাংলাদেশি ব্র্যান্ডিং প্র্যাক্টিশনারদের শর্ট কেস স্টাডি নিয়েই এই বই। যাতে আপনি আপনার পার্সোনাল ব্র্যান্ডকে আরো দ্রুত আরো বেশি শক্তিশালী করতে পারেন।
একজন কর্পোরেট, একজন উদ্যোক্তা, এবং একজন ছাত্র/ইয়ং প্রফেশনাল – তিনজন মিলে আমরা সেই উদ্দেশ্য সফল করতে পারবো আশা রাখি।
বাংলাদেশের কর্পোরেট জগতে বেশ কয়েকটি MNC তে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে মো. তাজদীন হাসানের, যার মধ্যে আছে British American Tobacco Bangladesh, Chevron, DHL, Robi Axiata Limited। বর্তমানে কাজ করছেন দেশের সবচাইতে জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক The Daily Star এ, Chief Strategy and Transformation Officer হিসেবে। তিনি US State Department এর IVLP Alumni। জিতেছেন অনেক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পুরষ্কার, যার মধ্যে আছে South Asian Digital Media Awards by WANIFRA & Google, Top Outstanding Youth Marketer of the Year, by Asia Marketing Federation, জয় বাংলা অ্যাওয়ার্ড, ইত্যাদি। The Washington Post, Yahoo News, INMA, GXpress এর মত পত্রপত্রিকায় তার উদ্যোগ মিশন সেভ বাংলাদেশকে ফিচার করা হয়েছে। এই চাকচিক্যময় জীবনের পেছনে রয়েছে পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের গল্প। তিনি HSC-তে ঢাকা বোর্ডে মেধা তালিকায় দশম স্থান অর্জন করেন। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেয়েও তিনি বেছে নেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিকে, পরবর্তীতে যার Alumni Association এর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট ও সিভিক ইয়ুথ এনগেজমেন্ট নিয়ে কাজের প্রতি দারুণ আগ্রহের কারণে, বিভিন্ন ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের সাথে অসংখ্য ইভেন্টে স্পিকার হিসেবে গিয়েছেন। নিজের উদ্যোগেও Youth Skills Summit এর মত বড় ইভেন্ট আয়োজন করেছেন। করোনাকালে Mission Save Bangladesh এর Co-Founder হিসেবে ২ কোটি টাকার ফান্ডরেইজ করেছেন যা দিয়ে অনেক মানুষকে খাবার, পিপিই, স্যানিটাইজার দিয়ে, আর্থিক এবং অন্যান্য ভাবে সাহায্য করা হয়েছে। তরুণদের জন্যে অনলাইন কোর্সও তৈরি করেছেন এবং করছেন।