Bangladesh’s war of liberation was indeed a unique episode in history. It was a war with many facets, distinctive in nature, scope, spirit and totality. On one side was a large well-trained army and on the other was a virtually unarmed people led by an odd assortment of ill-armed soldiers and freedom fighters backed by the whole population in their just struggle. For them there was no alternative to win, making them fight desperately and lay down their lives willingly. As a soldier General Safiullah could not remain a silent spectator, thus took up arms to protect the defenseless people. Safiullah narrated very lucidly about the battles he fought as well as the ones in other areas. While recounting various events he preferred battlefield accounts to political picture, making the narration more interesting. The use of charts and diagrams has enriched the entire work and enabled the readers understand how the battles were fought. The courage, determination and tenacity with which the people fought crowned them with glorious victory.
মেজর জেনারেল কে, এম, সফিউল্লাহ, বীর উত্তম সেপ্টেম্বর ১৯৩৫ সনে তদানিন্তন ঢাকা জেলার (বর্তমান নারায়ণগঞ্জ জেলা) রূপগঞ্জ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৩ সনে পাকিস্তান সেনা বাহিনীতে যােগদান করেন এবং ১৯৫৫ সনে পাকিস্তান মিলিটারী একাডেমি থেকে গ্রেজুয়েশন করে সেকেন্ড লেফটেনেন্ট পদে নিযুক্ত হন। সেনা বাহিনীতে কমিশন প্রাপ্তির পর ১৯৭০ সন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে, স্টাফে এবং প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে দক্ষতার সাথে কাজ করেছেন। তিনি ১৯৬৮ সনে পাকিস্তান কমান্ড এন্ড স্টাফ কলেজ কোয়েটা থেকে পিএসসি লাভ করেন। '৭১-এর স্বাধীনতার আন্দোলনকে সমর্থন করে জেনারেল সফিউল্লাহ ২৮ মার্চ '৭১ -এ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড ইন কমান্ড থাকাকালে ঐ ব্যাটালিয়ন নিয়ে বিদ্রোহ করেন এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধকালে মেজর সফিউল্লাহ তিনি তাঁর নামের প্রথম অক্ষর ‘এস' দিয়ে এস ফোর্স' নামে একটি নিয়মিত ব্রিগেড গঠন করেন এবং সে ব্রিগেডের কমান্ডার নিযুক্ত হন। যুদ্ধকালীন সময়ে তিনি জীবন বাজি রেখে কখন কখন সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ১৬ ডিসেম্বর '৭১-এর বিজয় দিবসে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আত্মসমর্পণকালে তিনি তার এই ব্রিগেড নিয়ে ঢাকায় উপস্থিত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান ও সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে গ্যালেন্টি এওয়ার্ড বীর উত্তম পদকে ভূষিত করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাংলাদেশ সরকার এপ্রিল ১৯৭২ সনে তাকে প্রথম সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়ােগ করেন। এই পদে তিনি আগষ্ট '৭৫ পর্যন্ত নিয়ােজিত ছিলেন। | জেনারেল সফিউল্লাহ ১৯৭৫-এর পর থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত এক নাগারে ১৬ বৎসর বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৭৬-এ মালয়শিয়া ও ১৯৮১-তে কানাডায় হাইকমিশনার, ১৯৮৬-তে সুইডেনে এ্যাম্বাসেডর এবং ১৯৮৭ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে হাইকমিশনার হিসেবে কর্তব্য পালন করেছেন। তিনি ১৯৯২ সনে সরকারি চাকুরি থেকে অবসর গ্রহণ করে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। জেনারেল সফিউল্লাহ এক ছেলে এবং তিন মেয়ের পিতা। তিনি সৌখিন ফটোগ্রাফার এবং নিজ হাতে বাগান করতে পছন্দ করেন। খেলাধুলার মধ্যে বর্তমানে তিনি গলফ খেলেন এবং অবসর সময়ে লিখেন।