মাওলানা ইসমাইল রেহান রচিত ‘তারিখে উম্মতে মুসলিমা’ গ্রন্থটির পটভূমি সৃষ্টির সূচনাকাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্তকার সমস্ত ইতিহাস। এই দীর্ঘ সময়ে সংঘটিত মুসলিম উম্মাহর আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক তাবৎ প্রেক্ষাপট নিয়ে রচিত হয়েছে এই দালিলিক গ্রন্থ। ইতিহাসের অজস্র পট-পরিবর্তনের দৃশ্যচিত্র অত্যন্ত কুশলী ও সুনিপুণ বুননে উপস্থাপন করেছেন পাকিস্তানের খ্যাতনামা ইতিহাসবিদ মাওলানা ইসমাইল রেহান। মনোরম-স্নিগ্ধ ভাষায় গ্রন্থটির পাতায়-পাতায় প্রাণবন্ত হয়ে আছে মুসলিম উম্মাহর কল্লোলিত বিচিত্র সময়। অল্পদিনের ভেতর পুরো উপমহাদেশে গ্রন্থটি ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ভাষায় শুরু হয়েছে এর অনুবাদের কাজ। মূল বইটি ছয় খন্ডে সম্পন্ন হবে। ইতিমধ্যে বইটির চার খন্ড প্রকাশিত হয়েছে ( পৃষ্ঠা সংখ্যা ৩৮১৬ বড় সাইজ)। আমরা চার খন্ডের বাংলা অনুবাদ ১৫ খন্ডে সম্পন্ন করব যার পৃষ্ঠা সংখ্যা ৬৫০০। বাংলা অনুবাদিত ১৫ খন্ডের প্রথম ছয় খন্ড ফেব্রুয়ারিতেই প্রকাশিত হবে।বাকি খন্ডগুলো মার্চে প্রকাশিত হবে ইনশাআল্লাহ। এমন একটি মূল্যবান গ্রন্থ থেকে বাঙালি পাঠকরাই-বা কেন বঞ্চিত থাকবে? তাই অত্যধিক গুরুত্ব বিবেচনা করে বাংলাভাষী পাঠকদের জন্যে গ্রন্থটির অনুবাদ নিয়ে হাজির হয়েছে মাকতাবাতুল ইত্তিহাদ।প্রিয় পাঠক, এবার কেবল আপনাদের সংগ্রহের পালা৷
নাম মুহাম্মদ ইসমাইল। ‘ইসমাইল রেহান’ তার কলমি নাম। হাফেজ, মাওলানা। জন্মেছেন করাচীতে। পহেলা ফেব্রুয়ারি, ১৯৭১। বাবা আব্দুল আজিজ। তার পূর্বপুরুষরা দেশভাগের সময় ইসলামি দেশে বসবাসের জন্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে পাকিস্তানে হিজরত করেন। করাচীর পুরনো গোলিমার এলাকায় বড় হয়েছেন। মায়ের কাছে দ্বীনিয়াত বিষয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি স্থানীয় স্কুলে ফরমাল এডুকেশন গ্রহন করেন। ১৯৮৬ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ভর্তি হন দারুল উলুম করাচীতে। বাহাদুরাবাদের জামেয়া মা’হাদুল খলীল আল ইসলামী থেকে ১৯৯৫ সালে তাকমীল সমাপন করেন। এর মাঝে আল্লামা আবদুর রশীদ নু’মানীর শিষ্যত্ব অর্জন করেন। তারপর ২০০৬ সালে করাচী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে বি.এ (সম্মান) এবং ২০১০ সালে করাচীর উর্দু বিশ্ববিদ্যালয় (FUUAST) থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি সমাপ্ত করেন। দীর্ঘ দুই দশক ধরে শিক্ষকতা করে আসছেন। ‘যরবে মুমিন’ ও ‘রোজনামা ইসলাম’ পত্রিকায় কলাম লিখে বিখ্যাত হয়েছেন। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত মাসিক সুলূক ও ইহসান পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ছিলেন। শিশুদের জন্য প্রকাশিত একটি পত্রিকা ‘বাচ্চোঁ কা ইসলাম’ ও নারীদের নিয়ে প্রকাশিত ‘খাওয়াতিন কা ইসলাম’ পত্রিকার সম্পাদনা র সঙ্গেও জড়িত ছিলেন।