মহাভারতের একটি বড় ঘটনা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ। এই যুদ্ধ আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এজন্য যে, এই যুদ্ধে পাণ্ডুপুত্র বীর অর্জুনের রথের সারথি ছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। অর্জুনকে তার প্রতিপক্ষ আত্মীয়-পরিজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র চালনায় দ্বিধান্বিত দেখে শ্রীকৃষ্ণ বলেন, হে ক্ষত্রিয় বীর স্বধর্ম পালন কর। ক্ষত্রিয় ধর্ম যুদ্ধ করা, কর্মফল নিয়ে ভেব না। নিস্কাম কর্মের এই উপদেশের ওপর রচিত হয়েছে ধর্মগ্রন্থ গীতা। কুরুক্ষেত্রের আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র অর্জুনপুত্র সতেরো বছরের বীর অভিমন্যু, যার বীরত্বের কারণে যুদ্ধে পাণ্ডবদের জয় হয়। মহাভারতের এইসব চরিত্র বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রূপক হিসেবে এই গ্রন্থের কিছু কবিতায় এসেছে, যা গ্রন্থটিকে এক ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। কবি যখন বলেন, 'কোথায় সে-অগ্নিবালক অর্জুনপুত্র বীর অভিমন্যু,/ সেই সতেরোর টগবগে তরুণ দেশপ্রেমিক,/ রাজনীতির কলুষ যাকে এখনও করেনি স্পর্শ,/ মেঘের কলিজা ছিঁড়ে/ যুগে যুগে তো এদেশে বালকেরাই ছিনিয়ে এনেছে আলো;/ ভগত সিং, ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, সালাম,/ বরকত, আসাদ, নূর হোসেন, কত কত নাম...’ তখন এই জনপদের হতাশ মানুষেরা নিশ্চয়ই চোখের সামনে তারুণ্যের কোনো এক শুভ উত্থান দেখতে পান। তারা আশায় বুক বাঁধেন, কোনো এক অভিমন্যুর আগমনধ্বনি শুনতে পান। কবির কাজ স্বপ্ন দেখানো। কবি কাজী জহিরুল ইসলাম এই জনপদের মানুষকে ক্রমাগত সুন্দর এক ভোরের স্বপ্ন দেখিয়ে যাচ্ছেন। এই গ্রন্থে বেশ কিছু ভ্রমণকবিতা আছে যা বাংলা কবিতায় এক নতুন হাওয়া। মহাভারতের একটি বড় ঘটনা কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ। এই যুদ্ধ আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে এজন্য যে, এই যুদ্ধে পাণ্ডুপুত্র বীর অর্জুনের রথের সারথি ছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। অর্জুনকে তার প্রতিপক্ষ আত্মীয়-পরিজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র চালনায় দ্বিধান্বিত দেখে শ্রীকৃষ্ণ বলেন, হে ক্ষত্রিয় বীর স্বধর্ম পালন কর। ক্ষত্রিয় ধর্ম যুদ্ধ করা, কর্মফল নিয়ে ভেব না। নিস্কাম কর্মের এই উপদেশের ওপর রচিত হয়েছে ধর্মগ্রন্থ গীতা। কুরুক্ষেত্রের আরেক গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র অর্জুনপুত্র সতেরো বছরের বীর অভিমন্যু, যার বীরত্বের কারণে যুদ্ধে পাণ্ডবদের জয় হয়। মহাভারতের এইসব চরিত্র বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে রূপক হিসেবে এই গ্রন্থের কিছু কবিতায় এসেছে, যা গ্রন্থটিকে এক ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। কবি যখন বলেন, 'কোথায় সে-অগ্নিবালক অর্জুনপুত্র বীর অভিমন্যু,/ সেই সতেরোর টগবগে তরুণ দেশপ্রেমিক,/ রাজনীতির কলুষ যাকে এখনও করেনি স্পর্শ,/ মেঘের কলিজা ছিঁড়ে/ যুগে যুগে তো এদেশে বালকেরাই ছিনিয়ে এনেছে আলো;/ ভগত সিং, ক্ষুদিরাম, সূর্যসেন, সালাম,/ বরকত, আসাদ, নূর হোসেন, কত কত নাম...’ তখন এই জনপদের হতাশ মানুষেরা নিশ্চয়ই চোখের সামনে তারুণ্যের কোনো এক শুভ উত্থান দেখতে পান। তারা আশায় বুক বাঁধেন, কোনো এক অভিমন্যুর আগমনধ্বনি শুনতে পান। কবির কাজ স্বপ্ন দেখানো। কবি কাজী জহিরুল ইসলাম এই জনপদের মানুষকে ক্রমাগত সুন্দর এক ভোরের স্বপ্ন দেখিয়ে যাচ্ছেন। এই গ্রন্থে বেশ কিছু ভ্রমণকবিতা আছে যা বাংলা কবিতায় এক নতুন হাওয়া।
কাজী জহিরুল ইসলাম। লিখেন গল্প, কবিতা, ভ্রমণকাহিনি ও প্রবন্ধ। পেশাগত প্রয়ােজনে ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভ্রমণ করেছেন পৃথিবীর বহু দেশ। দীর্ঘ দিন খণ্ডকালীন সাংবাদিকতা করেছেন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়। তাঁর প্রকাশিত উল্লেখযােগ্য গ্রন্থসমূহ : উড়ালগদ্য (কলাম), বিহঙ্গপ্রবণ (আত্মজৈবনিক উপন্যাস), জানা-অজানা আফ্রিকা (ভ্রমণ), গজমােতির দেশ আইভরিকোস্ট (ভ্রমণ) After a Long way (কাব্যগ্রন্থ), ছয় ঠ্যাংঅলা নীল সাপ (গল্প) ইত্যাদি। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ কবি জসীমউদ্দীন পুরস্কার ১৪০৬ এবং ভ্রমণ সাহিত্যে ড. দীনেশ চন্দ্র সেন পদক ২০০৮-এ ভূষিত হয়েছেন। বর্তমানে জাতিসংঘের একজন আন্তর্জাতিক কর্মকর্তা হিসেবে আমেরিকায় কর্মরত। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। স্ত্রী মুক্তি, পুত্র অগ্নি এবং কন্যা জলকে নিয়ে লেখক বসবাস করছেন কাব্যময় সংসারে।