‘‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০খণ্ড একত্রে (সেট)"ফ্লাপ ও পাঠকের জন্য নির্দেশিকা : মহান মুক্তিযুদ্ধের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিপ্রেক্ষিত বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব। ব্যক্তি, দল, সংগঠন, রাজনৈতিক নেতৃত্ব পুরুষ ও নারীর ভূমিকা বিদেশী বন্ধু, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, শুরু থেকে বিজয়। অর্জন পর্যন্ত দেশের ৪৯২টি উপজেলার প্রত্যেকটির যুদ্ধচিত্র, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যা, নারী নির্যাতন, বধ্যভূমি, গণকবর, রণাঙ্গণে মুক্তিযােদ্ধাদের বীরত্বগাথা-সহ অজানা বহু বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ভুক্তি শিরােনাম ও উপ-শিরােনাম বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ-এর ব্যবহার পাঠকবর্গের জন্য সহজবােধ্য করতে সর্বপ্রকার যত্ন নেয়া হয়েছে। এর সকল ভুক্তি বর্ণানুক্রমে সাজানাে হয়েছে। অনেক ভুক্তির বর্ণনাতেই উপ-শিরােনাম বা উপ-উপশিরােনাম রয়েছে। উপ-শিরােনামের ক্ষেত্রে ইটালিকস বােল্ড এবং উপ-উপশিরােনামের ক্ষেত্রে সাধারণ ইটালিকস ব্যবহার করা হয়েছে। ক্রস রেফারেন্স ও অন্যান্য সহায়িকা। পাঠকদের সুবিধার্থে কোনাে ভুক্তির বিষয়বস্তুর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত কোনাে ভুক্তি থাকলে, তা দেখুন’ দ্বারা নির্দেশিত হয়েছে । বেশকিছু ক্ষেত্রে ভুক্তির শেষে তথ্যসূত্র সংযােজিত হয়েছে। বিশেষভাবে লক্ষণীয় যে, প্রতিটি ভুক্তির বর্ণনাতেই বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ-এ অন্যত্র ভুক্তি হিসেবে বর্ণিত হয়েছে এমন অনেক শব্দ, ধারণা, নাম বা ঘটনার উল্লেখ আছে এবং সেগুলাে যথাবিহিত নির্দেশিত হয়েছে (যেমন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা' শিরােনামের ভুক্তিতে আছে, বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ-এর পর অসহযােগ আন্দোলন-এর উত্তাল দিনগুলােতেই টুঙ্গিপাড়া ও তার পার্শবর্তী এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের পটভূমি রচিত হয়)। এর ফলে পাঠকগণ বর্ণনাক্রমিক ধারায় তাদের নির্দিষ্ট বিষয় পাঠ করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রায় সবকিছু সম্পর্কে সহজে তথ্যানুসন্ধানের সুযােগ পাবেন। চিত্রসজ্জা ও মানচিত্র বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ-এর ভুক্তিগুলাে সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিতে ব্যাপকভাবে ছবি, মানচিত্র ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে । এ সবের সংখ্যা তিন হাজারেরও বেশি এবং ছবিগুলাে সবই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক । প্রায় সকল জীবনী-বৃত্তান্তে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবি রয়েছে । রঙিন ছবি পাওয়া না যাওয়ায় সাদাকালাে ছবি ব্যবহার করতে হয়েছে। বাংলাদেশের সকল উপজেলার মানচিত্র এতে স্থান পেয়েছে এবং ঐসব মানচিত্রে জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও পৌরসভা সদর, গণহত্যা/গণকবর/বধ্যভূমি, যুদ্ধ/অপারেশন, স্মৃতিসৌধ/স্মারক ভাস্কর্য ইত্যাদি চিহ্নিত করা হয়েছে। ভুক্তিভুক্ত ব্যক্তিবর্গের নাম এক্ষেত্রে আমাদের দেশের রেওয়াজ অনুসরণ করা হয়েছে; যেমন আবু ওসমান চৌধুরী অর্থাৎ নামের ব্যবহার অপরিবর্তিত থেকেছে। লেখকের নাম প্রতিটি ভুক্তির শেষে ঐ ভুক্তির লেখকের নাম পূর্ণরূপে দেয়া হয়েছে। কোনাে ভুক্তির একাধিক লেখক হলে তাদের নাম পরপর দেয়া হয়েছে। তারিখ। আন্তর্জাতিক হিসাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ-এ সন-তারিখ উপস্থাপনে বাংলা পঞ্জিকা অনুযায়ী সেগুলােকে গ্রেগরিয়ান তথা নতুন আন্তর্জাতিক পঞ্জিকার তারিখে রূপান্তর করে বসানাে হয়েছে । 0 জেলা সমন্বয়ক ও লেখক তালিকার জন্য ১০ম খণ্ড দ্রষ্টব্য D উপজেলা হানাদারমুক্ত হওয়ার তারিখের জন্য ১০ম খণ্ড দ্রষ্টব্য
Title
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ ১০খণ্ড একত্রে (সেট)
অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ (জন্ম: ২৭ অক্টোবর ১৯৫৪) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক দুইবারের উপাচার্য (২০১৩-২০২১)। এর আগে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে সিলেকশান গ্রেডের একজন অধ্যাপক ও উপ-উপাচার্য (২০০৯-২০০১২) নিযুক্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি ‘বাংলাদেশ স্কাউটস, রোভার অঞ্চল’র সভাপতি হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। জন্ম পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার আইরন গ্রামে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার বি.এ. (অনার্স) এবং মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। পরে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ডব্লিউ এইচ মরিস-জোনস-এর তত্ত্বাবধানে ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে তিনি পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করেন। এছাড়াও তিনি সুইডেনের উপসালা (শান্তি ও সংঘাতের উপর) ও জাপানের রিউকোকু (কিওটো) বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা করেন। ১৯৪৭-পূর্ব ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনাধীন অবিভক্ত বাংলা, পাকিস্তানি শাসনকাল, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, সমসাময়িক ভারত ও বাংলাদেশের রাজনীতি, এর গতিধারা ও রাজনৈতিক উন্নয়ন’ তাঁর গবেষণার ক্ষেত্র। বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র গঠন সব সময় তাঁর গবেষণার কেন্দ্রীয় বিষয়। তাঁর গবেষণা-গ্রন্থের মধ্যে The Foreshadowing of Bangladesh 1906-1947 (fourth edition, UPL 2015), Inside Bengal Politics 1936-1947 : Unpublished Correspondence of Partition Leaders (second edition, UPL 2012), বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পুনর্পাঠ (ইউপিএল ২০১৩), বাঙালির রাষ্ট্রচিন্তা ও স্বাধীন বাংলাদেশের . অভ্যুদয় (আগামী প্রকাশনী ২০০৩), বাংলাদেশ : রাজনীতি সরকার ও শাসনতান্ত্রিক উন্নয়ন ১৭৫৭-২০০০ (নিউ এজ পাবলিকেশন্স ২০০১), “আমাদের বাঁচার দাবী’ : ৬ দফার ৫০ বছর (বাংলা একাডেমি ২০১৬), মূলধারার রাজনীতি : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কাউন্সিল ১৯৪৯-২০১৬ (বাংলা একাডেমি ২০১৬), ৭ই মার্চের ভাষণ কেন বিশ্ব ঐতিহ্য-সম্পদ : বঙ্গবন্ধু মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ, (বাংলা একাডেমি ও অন্যপ্রকাশ ২০১৮) বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। প্রফেসর হারুন-অর-রশিদ বর্তমানে বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটিতে ‘বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের এনসাইক্লোপিডিয়া’ (২০ খণ্ড) রচনা প্রকল্পের প্রধান হিসেবে গবেষণাকর্মে নিয়োজিত। বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য ২০২১ সালে তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন।