"রাজপুত্র রাজকন্যার মজার গল্প" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ 'ভূত-পেত্নী এবং রাজপুত্র রাজকন্যার মজার গল্প' বইটি সম্পূর্ণ নিজ দেশের নিজস্ব মানুষের কাছ থেকে শোনা গল্পকাহিনী। আজকাল মা খালাদের মনের ঝুলিতে কোন গল্প নেই বললেই চলে। আগের দিনে নদী মাতৃভূমি রক্ষায় সন্তানদের সুশীল মুরুব্বীরা কত আদর্শে সন্তানকে সাতসমুদ্র তের নদী সাতরাজার ধন মানিক, বাঙ্গামা ব্যাঙামীর গল্প শোনাতেন! নানান সামাজিক অনুষ্ঠানে পল্লী গায়ে কত মজার পিঠা তৈরি করা হতো। আজ দেশের স্নেহমমতার বাঁধন- হারিয়ে যাচ্ছে। আধুনিকতার উৎস পরিবার, সেই একান্নবর্তী পরিবার আজ ছোট পরিবারে রুপান্তরিত। আগে মা চাচীদের মন ভোলানো কাহিনি শুনে শিশুদের ঘুম পাড়ানো হতো। নানা নানী দাদা দাদীদের মায়ায় জড়ানো গল্প কাহিনি সন্ধ্যা তারার মতো জ্বল জ্বল করতো। সুশীল লেখক এম আর খান আদনান লেখায় সেই হারানো দিনের চিরায়িত গ্রাম বাংলার রূপ ওঠে এসেছে। আগে দেশের মানুষ দরদী সহমর্মি স্বভাবের ছিল। মাটির প্রতি টান ছিল গভীর ভাবে। সেই দেশপ্রেম নরনারীকে মনুষ্যত্বলাভে সাহায্য করতো।আজ এত বছর পর শিশুতোষ বইটি পড়ে আমি ও আমার সেই হারানো শৈশব কৈশোরে ফিরে গেলাম। সে কত স্মৃতি মনে পরে গেলো, ভালোই লাগলো... আজ বলতে ইচ্ছে করে এই সহজ সরল ভাষার বইটি লিখে লেখককে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করবোনা, ছাপার অক্ষর হলেও এর প্রতি পাতায় পাতায় রসবোধ আছে, আছে সজীবতা। ভূত-পেত্নী রাজপুত্র রাজকন্যার গল্পের বীজ বপন করেছেন। আর কচি কচি শিশু কিশোর-কিশোরীদের মজার-মজার গল্প বইটি বিশ্ব পাঠকসমাদৃত হোক। আশা করি এ-ই ভূমন্ডলের সকল শিশুদের হৃদয় জয় করবে বইটি।