পৃথিবীর শুরু থেকে আজ অবধি মর্তে আগমনকারী সব মানুষ জগদ্বিখ্যাত হতে পারেনি। তাই তো বেশিরভাগ মানুষের গায়ে সাধারণের তকমা লাগানো। আর যারা কর্ম, গুণ, নৈপুণ্য এবং ক্ষেত্রবিশেষে কৌশল দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছেন, বিখ্যাত হয়েছেন কিংবা নিজের নামকে জগৎজোড়া বিস্তৃত করতে সমর্থ হয়েছেন তারা হয়েছেন অসাধারণ। যশ-খ্যাতির কারণে সাধারণে আর অসাধারণে পার্থক্যের কারণেই সাধারণরা সবসময় অসাধারণদের সম্পর্কে জানতে উদগ্রীব। এই অসাধারণ তথা বিশ্ববিখ্যাত হয়ে ওঠা মানুষদের সবাই যে সবসময় ইতিবাচক ছিলেন বা কর্মকাণ্ড করেছেন, তা কিন্তু নয়। অনেক অসাধারণ ব্যক্তির জীবনেই নানা অজানা-অন্ধকার দিক আছে, যা আমরা সাধারণরা জানি না। তবে জানার কৌতূহল আছে। কেউ কেউ নিজের সুকর্ম দিয়ে বিশ্ববিখ্যাত ব্যক্তিতে পরিণত হয়ে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন। কেউ আবার বিখ্যাতের তকমা লাগিয়ে করেছেন নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড। অনেকেরই শীর্ষে ওঠার পেছনের গল্প আমরা সাধারণরা জানি না। তেমনি কিছু জগদ্বিখ্যাত এবং জগৎজোড়া নামকামানো মানুষের জীবনের নানা অজানা দিক, অজানা গল্প ‘বিখ্যাতদের অজানা কথা’ বইতে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। ব্যক্তিকে ছোট করার মানসিকতায় নয়, বিখ্যাতদের সম্পর্কে পাঠকের জানার কৌতূহল মেটাতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। আশাকরি, বইটিতে উঠে আসা ব্যক্তিদের গল্পগুলো পড়ার মাধ্যমে নানা বিষয়ে অনেক কিছু জানতে ও শিখতে পারবে পাঠক। লেখালেখির ক্ষেত্রে সব সময়ই নানাজনের পরামর্শ নিই। এই বইয়ের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ছিল না। সবার নাম উল্লেখ করতে গেলে লেখার কলেবর বাড়বে বিধায় সে চেষ্টায় ক্ষান্ত দিতে হচ্ছে। বিভিন্নরকম সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বইটি যাতে পাঠকপ্রিয় এবং সুপাঠ্য হয়, সে চেষ্টার কমতি ছিল না। তারপরও যদি কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি দৃষ্টিগোচর হয়, আশা করব সুহৃদ হিসেবে পাঠকরা তা ধরিয়ে এবং পরামর্শ দিতে কার্পণ্য করবে না। পরবর্তী সংস্করণে পরামর্শগুলো সংযোজন করা হবে বলে আশা রাখি। মহান একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে বইটি প্রকাশ করার জন্য কারুবাক প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী গোলাম কিবরিয়া ভাইকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই। বইপ্রেমী এই মানুষটি আসলেই প্রচণ্ড যত্ন নিয়ে বইটি প্রকাশ করেছেন। আশাকরি, পাঠক তার যত্নের ছাপ বইতে অবশ্যই দেখতে পাবেন। পরিশেষে তার এবং কারুবাকের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।