ফ্ল্যাপে লিখা কথা সব মানুষের পক্ষে তো আর সব জায়গায় বেড়ানো বা দেখা সম্ভব নয়। তাই ভ্রমণের বই পড়েই সেসব জায়গা সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়, আগ্রহ জন্মে সেসব জায়গাগুলোতে যাওয়ার, সেসব দেশের রূপ দেখার। যেসব দেশেল লোকেরা বেশি ভ্রমণ করে, এখানে ওখানে যায় তাঁদের কাছে এ ধরনের বইগুলো স্বভাবতই বেশ জনপ্রিয়। বাংলা সাহিত্যেও ভ্রমণ সাহিত্য ধীরে ধরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলা ভ্রমণ সাহিত্যে লেখক মৃত্যুঞ্জয় রায়ের আর একটি নতুন পালক যুক্ত হলো ‘দেশ পেরিয়ে অন্য দেশে’ নামের বইটি।
লেখক কর্মসূত্রে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দেশে গিয়েছে। মালয়েশিয়া, কম্বোডিয়া, ডেনমার্ক, সুইডেন, নরওয়ে, জার্মানী, ফ্রান্স, বেলডিয়াম, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, ভারত ইত্যাদি দেশ তিনি ভ্রমণ করেছেন। সেসব দেশের রূপ বৈচিত্র্য, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ইত্যাদি নানা বিষয়কে তাই তিনি প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পেয়েছেন। যখনই তিনি যে দেশে গিয়েছেন সে দেশেল ছবি এঁকেছেন কলম দিয়ে। আর সেসব লিখিত চিত্রগুলো বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়েছে প্রথম আলোসহ অন্যান্য জাতীয় দৈনিকে। তাঁর চোখে দেখা অন্য দেশের টুকরো সেসব ছবি নিয়েই প্রকাশিত হল ‘দেশ পেরিয়ে অন্য দেশে’। আশা করি ভ্রমণপ্রিয় পাঠকদের বইটি ভাল লাগবে।
কৃষিবিদ মৃত্যুঞ্জয় রায় প্রায় তিন দশক ধরে বিভিন্ন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় লিখছেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ থেকে এম.এসসি.এজি (উদ্যানতত্ত্ব) ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগতভাবে তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে। সর্বশেষ অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রয়েছে কৃষিক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার সুদীর্ঘ বাস্তব অভিজ্ঞতা ও ফসল উৎপাদনের বিশেষ পারদর্শীতা, শিক্ষকতা ও প্রশিক্ষণের দক্ষতা। এর ওপর ভিত্তি করে তিনি লিখেছেন ‘বাংলাদেশের অর্থকরী ফসল’ বইটি।। কৃষি বিষয়ে তিনি ইতােমধ্যে অনেকগুলাে বই লিখেছেন। এ পর্যন্ত তাঁর লেখা ৮৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে যার মধ্যে ৬২টি বই কৃষি বিষয়ক। কৃষি বিষয়ক লেখালেখির জন্য তিনি ২০১২ সালে পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার এবং ২০১৮ সালে পেয়েছেন বাংলাদেশ একাডেমী অব এগ্রিকালচার স্বর্ণপদক।