"ত্রিধার"বইটির প্রথম ফ্লাপের কিছু কথা: সরু, পাকা পিচ ঢালা রাস্তা। রাস্তার দুপাশেই বিশাল আকৃতির কৃষ্ণচূড়ার গাছ। গাছগুলাে বেশ পুরােনাে। বয়স্ক গাছগুলাের ছায়ায় সন্ধ্যের অন্ধকার রূপ নিয়েছে গভীর রাতের। সে অন্ধকারের তীব্রতা ভেদ করে ছুটে চলেছে। তিনটি সাইকেল।সাইকেলে বসা তিনজন যুবকের গন্তব্য বুড়াে বট গাছটা। যে আগে পৌছে সেই বট গাছের কাছটায় দাঁড়াবে, সে হবে। বিজয়ী। কামারের হাপরের মতােন উঠা নামা করছে। শ্বাস। মাত্র কয়েক ফুটের পথ। সাদা শার্ট গায়ের ছেলেটি সবচেয়ে এগিয়ে আছে। চিত্তারের সাথে চলছে উলাস, একে অপরকে যেমন উৎসাহ দিচ্ছে, নিজেরাও এগিয়ে চলেছে। দ্রুত। কিন্তু...... হঠাৎ এক যুবকের সাইকেলের ব্রেক কাজ করছে।বট গাছের জায়গাটা পাহাড়ের মতােন উঁচু। এরপর এক বিশাল ঢালু জায়গা ।একটা দেয়াল তুলে দেওয়া হয়েছে সেই জায়গাকে নিরাপদ করার জন্য।সাদা শার্ট পরনের ছেলেটি হটাৎ করেই পড়ে গেল সেই দেয়াল ঘেঁষে। নিচে পড়তে পড়তেও পরে না সে। তার দুই বন্ধু যে তাকে ধরে ফেলেছে, তবে! তবে পায়ের নিচটায় প্রচন্ড যন্ত্রণা করছে। ডান পা যে দেয়ালের মাঝের ফাটলে আটকে গেছে। উফ কী ভয়ংকর যন্ত্রণা! বন্ধুরা তাকে টেনে তুলতে চেষ্টা করছে, সে চেষ্টায় পায়ের যন্ত্রণা পালা দিয়ে দ্বিগুণ অনুসারে বাড়ছে। যন্ত্রণায় ছেলেটির মুখ ধীরে ধীরে নীল বর্ণ হতে থাকে। ঘেমে নেয়ে অস্থির হয়ে উঠেছে সে কয়েক সেকেন্ড পরেই তার জ্ঞান লােপ হওয়া শুরু করলাে। দুচোখ বন্ধ হওয়ার পূর্বে আবছা চোখে তাকিয়ে রইল উপরের দিকে।অচেতন হওয়ার পূর্বে সে শুধু শুনতে পাচ্ছিলাে, ইফাদ, ভয় পাসনে ভাই। আমরা আছি। হাত ছাড়বি না, চোখ বন্ধ করিস না। আমরা তাের কিছু হতে দিবাে না।ইফাদ, তাকা আমাদের দিকে। ইফাদ!"
সাদিয়া খান সুবাসিনী। ডাকনাম মুন। সুবাসিনী নামে পাঠক মহলে পরিচিত এক সাধারণ মানুষ। বাবা মায়ের তিন সন্তানের মাঝে প্রথম সন্তান।কোনো এক ২১শে ফেব্রুয়ারির প্রভাতে জন্ম প্রিয় শহর টাংগাইলে।