আমার শহরে বৃষ্টি তার দেশে মরুভূমি বৃষ্টি নাকি প্রশান্তি আনে? আমায় তো মরুভূমিই টানে! মাহদিয়াতের এবার এক অসুখ হলো। ভীষণ খারাপ অসুখ। সে রাতবিরেতে শুধু সেই মেয়েকে নিয়েই ভাবতে লাগল। ভাবতে ভাবতে এক সময় তার মনে হলো—হৃদয় নামক প্রণয়ের সমুদ্রের সমুদয় জল অকস্মাৎ শুকিয়ে গেছে। চারিদিকে শূন্য মরুভূমি। প্রচণ্ড তৃষ্ণায় ব্যাকুল হয়ে গেল সে। মনে হচ্ছে তার জ্বর আসছে। শরীর কাঁপিয়ে, মন খারাপের জ্বর। বিছানায় শুয়ে নিজেকে সামলানোর বৃথা চেষ্টা করল সে। অজ্ঞাতসারে কল দিয়ে বসল মেয়েটির নম্বরে। কল দিয়েই নিভু নিভু কণ্ঠে বলল, ‘আমি আজ ক্লান্ত, তৃষ্ণার্ত। মিটিয়ে দেন আমার তৃষ্ণা। আপনার কণ্ঠ শুনিয়ে আমাকে একটু শান্তি দিলে হয় না? একটা লম্বা সুখের দীর্ঘশ্বাসের অনেক প্রয়োজন আমার... মেয়েটির সেই সময়ের অস্তিত্ব হিম করা শ্বাস-প্রশ্বাসের ধ্বনি আজও মাহদিয়াতের মস্তিষ্কে অনুরণন সৃষ্টি করে; অথচ বিচ্ছেদের তিন বছর চলছে। আজও মনে পড়ে তাকে। তার খোলা চুল যেন মেঘ চিকুর। মেঘের মতন নরম, মখমলি চুল স্পর্শ করার জন্য ব্যাকুল হয়ে ওঠে তার অন্তরিন্দ্রিয়। পুনশ্চ মনে করিয়ে দেয় দক্ষিণের সেই সমীরণ, ‘ভালোবাসা এক নিঃসঙ্গতার নাম। ভালোবাসলে যে নিঃসঙ্গ হতেই হবে।’
সাদিয়া খান সুবাসিনী। ডাকনাম মুন। সুবাসিনী নামে পাঠক মহলে পরিচিত এক সাধারণ মানুষ। বাবা মায়ের তিন সন্তানের মাঝে প্রথম সন্তান।কোনো এক ২১শে ফেব্রুয়ারির প্রভাতে জন্ম প্রিয় শহর টাংগাইলে।