"আয়না ঘর" বইটির ভূমিকা থেকে নেয়াঃ মন কি দেখা যায়? ছোঁয়া যায়? - না। কিন্তু মনকে ইগনাের করাও সম্ভব না। মানুষের মনের মতাে বিচিত্র আর কিছু নেই ত্রিভুবনে। মনের উপরে পুরাপুরি নিয়ন্ত্রণ কখনাে আনা সম্ভব না। মনের সব কাজের এবং সিদ্ধান্তে ব্যাখাও হয় না। মনের বেখেয়ালিপনা নিয়ে লেখা আয়নাঘর। চারটা গল্প আছে বইটিতে। ‘আয়না ঘরে' আমরা এক সাইকোপ্যাথের গল্প পড়ব। যেখানে একজন এসিড ভিক্টিম পরিবার কীভাবে ধ্বংস হয়ে যায় সে গল্প লিখেছেন লেখক। গল্পের ভেতর দিয়ে লেখক মনের অসুখের খোজ দিয়ে গেছেন। মনের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হতে হবে আমাদেরকে। নাহলে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ পরিণতি। ‘কিউপিড’ গল্পে আমরা প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী তপতী চৌধুরীর খেয়ালি মনের পরিচয় পাব। বিখ্যাত হবার পরেও মানুষ ভুলতে পারে না। শৈশবের ভয়াবহ কোনাে ঘটনা। এর প্রভাব থেকে যায় সাবকনশাস মনে। সেই মন কী কী করিয়ে নিতে পারে তা পড়ব কিউপিডে। 'যত্ন অযত্নের ভালােবাসা' এটাকে একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প বলা যায়। কিন্তু এখানেও মন ছাড় দেয় না তার খেয়ালিপনা দেখাতে। প্রেমেই তাে মন সবচেয়ে বেশি দেখায় তার ক্যারিশমা। ‘ডার্ক ওয়েব’ গল্পে তুখােড় মেধাবী রায়ানার অন্ধকার জগতে চলার জার্নিটা জানবে পাঠক।
জন্ম ... ২৩ জুন। ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলির পৈতৃক বসতভিটাতে বর্ষাসড়বাত ভোরে। পিতা- মো. আতিয়ার রহমান। ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবক। মাতা- নূরুন নাহার রহমান। গৃহিণী। পাঁচ বোন। লেখিকা তার পিতা-মাতার বড় সন্তান। একমাত্র সন্তান আহ্নাফকে নিয়ে তার একান্ত নিজস্ব ছোট্ট সংসারজীবন। লেখিকা পেশায় একজন চিকিৎসক। স্কুল-কলেজজীবন ফরিদপুরে কাটিয়েছেন। পরবর্তীকালে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে চলে আসেন ময়মনসিংহ। কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস কোর্স শেষ করে বারডেম থেকে সিসিডি এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। লেখালেখির শুরু স্কুলজীবন থেকেই। স্কুল, কলেজের ম্যাগাজিন, দেয়াল পত্রিকা এবং বিভিনড়ব দৈনিক পত্রিকার শিশু, সাহিত্য এবং নারী পাতায় লিখতেন। মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার পর লেখালেখিতে একটা বড় গ্যাপ তৈরি হয়। পরবর্তী সময়ে বিভিনড়ব অনলাইন পোর্টাল এবং ফেসবুকের বিভিনড়ব লেখালেখির গ্রুপে আবার নিয়মিত লিখতে শুরু করেন। ২০১৮-এ অমর একুশে বইমেলাতে লেখিকার প্র ম একক বই ‘আনটোল্ড স্টোরি ফ্রম এ স্ট্রাগলার’ প্রকাশিত হয় শব্দভূমি প্রকাশনী থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯-এ আসে গল্প সম্ভার ‘অপ্রত্যাশিত তুমি আমি’ বইটি। এছাড়া আরো বেশকিছু যৌথ বইতেও লেখিকার লেখা গল্প প্রকাশিত হয়েছে। লেখিকা মূলত সমাজের বিভিনড়ব অসামঞ্জস্য এবং যুগ যুগ ধরে চলে আসা গৎবাঁধা তবে অযৌক্তিক ইস্যুগুলো তুলে আনেন লেখার ভেতর দিয়ে। তার লেখার উল্লেখযোগ্য দুটো বিষয় হচ্ছে পজিটিভ ভাইব এবং সাহসিকতা। নারী-পুরুষ ভেদাভেদ না করে লেখার চরিত্রগুলোকে মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টাও লক্ষণীয় তার লেখাতে। পেশায় চিকিৎসক হওয়ায় সমাজের বিভিনড়ব শ্রেণির মানুষকে খুব কাছ থেকে দেখার, জানার সুযোগ পান লেখিকা। যা তার লেখালেখির ভাণ্ডারকে দিনে দিনে আরো সম"দ্ধশালী করে তুলবে বলে আশাবাদী।