‘আমরা তখন ঢাকার উত্তর শাহজাহানপুর থাকি। আমাদের বাসার সামনে একটা সোজা রাস্তা। মালিবাগ যাব, রিক্সা খুজতেছি। দূরে একটা রিক্সা দাড়ানো। আমাকে দেখে এগিয়ে এলো রিক্সাওয়ালা। অবাক করে দিয়ে জিজ্ঞাসা করল, স্যার কি মালিবাগ যাইবেন? আমি বললাম, আমি মালিবাগ যাব কি না এটা তুমি কেন জিজ্ঞাসা করছ? রিক্সাওয়ালা উত্তর দিল, স্যার আমিও মালিবাগ যামু কিন্তু রাস্তা চিনতেছি না।’ বাংলাদেশ, আমেরিকা, সুইডেন, ডেনমার্ক, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, স্পেন, ইটালি, পর্তুগাল, সাউথ কোরিয়া, মালায়েশিয়াসহ পৃথিবীর নানা জায়গায় ঘুরতে ঘুরতে যেধরনের অভিজ্ঞতা হয়েছে, যা যা দেখেছেন তাই লিখেছেন শামীম শাহেদ। আছে কিছু পরিচিত পুরোনো গল্পও। ‘উড়োজাহাজের উড়োচিঠি’ মুলত ভ্রমণ রম্য রচনা। ভ্রমণ অভিজ্ঞতা এখানে খুব কমই উঠে এসেছে। পড়তে পড়তে মনে হবে মজার গল্প বলার জন্য এটা একটা উসিলা মাত্র। এই যেমন, একবার এক লোক বাইরে যাবেন আয়নায় তাকিয়ে দেখেন তার মাথায় পাঁচ-ছয়টা চুল। আচঁরাতে গিয়ে আবার একটা উঠে গেল। লোকটা চুল আচঁরানো বন্ধ করে বিরবির করে বললেন, ধুর আজকে আউলা মাথাতেই অফিস যাব। তারপর তিনি গিয়ে বসলেন এক নাপিতের সামনের চেয়ারে। নাপিত চুলের সংখ্যার দিকে তাকিয়ে বললেন, স্যার গুনব নাকি কাটব। লোকটা আরও গম্ভীরভাবে বললেন, কারার কর। বছরে দুই-একটা সস্তা টাইপের বই পড়তে হয়। সেই কোটায় ‘উড়োজাহাজের উড়োচিঠি’ পড়ে ফেলা যায়। এটা শামীম শাহেদ-এর বক্তব্য।