ইসলাম একটি জীবন ব্যবস্থা। ইসলাম কোনো মতবাদ বা কারও ব্যক্তিগত ভাবাদর্শ নয়। ইসলামের সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে একে মতবাদের স্তরে নামিয়ে এনে। সুতরাং, ইসলামে বিশ্বাসীদের উচিত নিজেকে যথেষ্ট স্পষ্ট করে বুঝানো যে, এই হচ্ছে ‘ইসলাম’। পাশাপাশি ইসলাম সম্পর্কে আমাদের চিন্তাধারা ও দৃষ্টিভঙ্গি হতে হবে আমাদের পূর্বসূরি-সালাফদের মতোই। ইসলামের পুনর্বিকাশের যারা সংগ্রাম করছি, তাদের উচিত জনগণের মাঝেও ইসলামকে স্পষ্ট করে তুলে ধরা। ‘ডিসকাভার ইসলাম’ বইয়ে আছে কুরআন-হাদিসের আয়নায় জীবন পরিচালনার পাথেয় থেকে শুরু করে সভ্যতা-সংস্কৃতি, সৌন্দর্য, অর্থনৈতিক শিক্ষা, সামাজিক আচরণ- ইত্যাদি বিষয়ে সমকালীন প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা। বইটির আরও একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এখানে সব সমস্যার সমাধান দিয়ে দেওয়া হয়নি; বরং কিছু মূলনীতি নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে। এর ফলে পাঠকের জ্ঞান বৃদ্ধির সাথেসাথে সমস্যা সমাধানের দক্ষতাও বাড়বে। বইটি এমনভাবে লেখা হয়েছে যেন এটি একজন মুসলিমের জন্য মেন্টর হিসেবে কাজ করে এবং ইসলামের বিভিন্ন ধাপ পর্যায়ক্রমে শিখতে এবং তা মানতে সহায়তা করে। এককথায় ইসলাম মূলত কী, জীবন পরিচালনার ক্ষেত্রে ইসলামের শিক্ষা কী- প্রশ্ন দু’টি সামনে নিয়ে ‘জীবন ও ইসলাম’ সম্পর্কে আপনাকে ভাবতে শেখাবে বইটি।
আতাউর রহমান খসরু। ছদ্মনাম: আবরার আবদুল্লাহ ও খসরু মুসাফির; পিতা: আবদুল মজিদ মোল্লা; মাতা: তাসলিমা মজিদ। ২ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ সালে খুলনার ডুমুরিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে ঢাকার সাভারে স্থায়ী হয়েছেন। জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া সাত মসজিদ (মোহাম্মদপুর, ঢাকা) মাদরাসা থেকে ২০০৭ সালে দাওরায়ে হাদীস পাশ করেন এবং শরীয়া আইন নিয়ে উচ্চতর লেখাপড়া করেন ঢাকাস্থ চৌধুরীপাড়া দারুল কুরআন মাদরাসায়। তারপর সাহিত্য-সাংবাদিকতা বিষয়ে মাদরাসা দারুর রাশাদে দুই বছরের কোর্স সম্পন্ন করেন। একই সঙ্গে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় অনার্স-মাস্টার্সও কমপ্লিট করেন। লেখেন গল্প, প্রবন্ধ ও অনুবাদ। বিভিন্ন মাসিকপত্রে সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে দৈনিক কালের কণ্ঠে সহ-সম্পাদক পদে কর্মরত আছেন। তার প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে : ১. মুসলিম বর-কনে ইসলামী বিয়ে (অনুবাদ) ২. কারাগার নয় শান্তিময় পরিবার ৩. পশ্চিমা বুদ্ধিজীবীদের প্রতি খোলা চিঠি। (অনুবাদ) ৩. সভ্যতা-সংস্কৃতিতে ইসলামের অবদান (যৌথ, অনুবাদ) ৪. কোন নামে ডাকি তারে (অনুবাদ)। ২০১২ সালে তিনি মাসিক রাহমানী পয়গাম লেখক সম্মাননা লাভ করেন।