আর নয় অঙ্ক ভীতি গণিত জানা, শেখা ও চর্চার জন্যে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও জাতীয়ভাবে উল্লেখযোগ্য উৎসাহ ও উদ্দীপনা সৃষ্টির পরিবেশ তৈরি হয়ে ওঠেনি। সেই তৎপরতা ও প্রেরণার অভাববোধের একাংশ থেকেই জন্ম 'আধুনিক গণিত ব্যাকরণ' প্রতিপাদক পুস্তকটির; যা শিক্ষার্থীদের গণিতাবিষ্টতা, গণিতাসক্তি ও গণিতৈকান্তিক প্রবণতার জন্যে এক বিশেষ প্লাটফর্ম হিসেবে মুখপত্র হবে এমনটিই প্রত্যাশা।... বইটি কোনো নির্দিষ্ট সিলেবাসকে কেন্দ্র করে প্রণীত হয়নি। তবু বলা চলে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগীসহ যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার্থীর জন্য উপযোগী। মুখস্থ করে নয়, গাণিতিক কৌশল আয়ত্ত করা ও নিয়মতান্ত্রিক আর ব্যবহারিক চর্চার মাধ্যমে গণিতের জ্ঞানকে অবারিত বিকশিত করার মধ্য দিয়ে মানসিক গণিতের দুর্বহ ভীতকে মজবুত করে যারা বিচিত্র প্রতিযোগিতার লড়াই করতে অপরিসীম সামর্থ্য ও সাহস অর্জনে নিজেকে সক্ষম করবে।... গাণিতিক দুর্জেয় ধারণা সুষ্ঠু বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সংজ্ঞা, উদাহরণ, শর্ত, চিত্র এবং কিছু টুকরো তথ্যের সংযোজন করা হয়েছে। যা পড়ামাত্রই শিক্ষার্থী অল্প কথায় অপ্রতুল তথ্য অতি দ্রুত ও সহজভাবে বুঝতে পারবে এমনই আমার ধারণা। গণিতের প্রতি অহেতুক উদাসীনতা ও অনাসক্তা দূর করতে অধ্যায়ভিত্তিক জটিল সমস্যার সমাধান কৌশল সহজ থেকে সহজতর করে দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর শিখনফল অর্জনের মাত্রা মূল্যায়ন করার জন্য প্রতিটি অধ্যায় শেষে পর্যাপ্ত অনুশীলনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যেসব তথ্য শিক্ষার্থীদের জানার জন্য অত্যাবশ্যক তা বি. দ্র. লিখে সন্নিবেশ করা হয়েছে। যাতে তারা আরো আগ্রহী, কৌতূহলী ও মনোযোগী হতে পারে।...
রাজু আহমেদ নওগাঁ জেলা ও সদর থানার অন্তর্গত চকউজির গ্রামের শাহ পরিবারে ৩১ আগস্ট, ১৯৮৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। রাজু আহমেদ তাঁর ডাকনাম। প্রকৃত নাম মো. আব্দুল লতিফ। পিতা মো. আফতাব হোসেন শাহ এবং মাতা মোছা, লুৎফোন নাহার। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে জ্যেষ্ঠ। শিক্ষা জীবনের শুরুতে চকউজির সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এরপর রাণীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় তারপর নওগাঁ সরকারি কলেজ শের-এ-বাংলা মহাবিদ্যালয় এবং সবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেন। লেখালেখি তিনি খুব ছোট কালেই শুরু করেছিলেন। এবং এখন তিনি এটিকে বেঁচে থাকার উৎসপ্রধান হিসেবে নিয়েছেন। বিমূর্ত গণিতচর্চা করলেও তিনি মূলত একজন মূর্তমান সাহিত্যিক। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় লিখে তিনি তাঁর আত্মপরিচয় সমুজ্জ্বল করেছেন। প্রত্যক্ষ বোধাধার মনে করে তিনি দেশের ঐতিহাসিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানসমূহ অবলোকন, আর্ট গ্যালারি পরিদর্শন ও জাদুঘরে সংরক্ষিত নিদর্শনসমূহ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দেশের ধারাবাহিক ইতিহাস ও ঐতিহ্যসচেতন হওয়ার স্বতঃস্ফূর্ত প্রয়াস পান। আহরণ করার সুযোগ পান বিচিত্র বিষয়ে নান্দনিক জ্ঞান। চেতনা উৎপাদন কৌশলে সচেষ্ট থাকেন ব্যতিক্রম মাত্রার শিল্পগুণ ও শিল্পসত্তা প্রতিফলনে। সাহিত্য ও গণিতের তুলনামূলক স্থল চিন্তার বিশ্লেষণধর্মী সূক্ষ্মতা, গভীরতার ব্যাপকতা ও পরিসীমার পরীধি নিয়ামক কাজে লাগিয়ে উভয় ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পর্ক সৃজনে সদা তৎপর দৃষ্টিভঙ্গির পরিচয় তিনি বহন করেন। লাইব্রেরিকে 'জ্ঞানের সূর্য আখ্যা দিয়ে বই পড়া আর বই লেখার মাঝেই তিনি তাঁর সৃষ্টিশীল জীবনের অস্তিত্বের সন্ধান পান।