'ছন্দ-কথায় গল্প-গাথা'...নিয়ে দুটো কথা কাহিনীমূলক কবিতা- যে কবিতা জীবনের কথা বলে, জীবনরূপ-পথ চলার কথা বলে। এক সময় আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমের পাঠ্যসূচীতে এই কাহিনীমূলক কবিতার সংযোজনটা ছিল একরকম অবধারিত। কিন্তু আজকের এই তথ্যপ্রযুক্তির প্রভাবে বিষয়টি প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছে। তবে জীবন তো থেমে নেই, সে তো চলছে, আরও দ্রুতগতিতে চলছে। কিন্তু এই দ্রুত গতির সাথে তরুণ-সমাজ পেরে উঠছে কি? না, পেরে উঠছে না। তাই তো সে তাৎক্ষণিকভাবে নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিতে ইতস্তত বোধ করছে, দ্বিধায় পড়ছে, ভয় যাচ্ছে, ফলে সে পিছু হটছে; সর্বোপরি সে নিজের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। ঠিক এ সময়ে তার যেমন দরকার সমসাময়িক চিন্তা-শক্তির বিস্তার ও পরিশীলন, ঠিক তেমনি দরকার জীবনমুখী নানা গল্প-কাহিনী থেকে অর্জিত জ্ঞান-অভিজ্ঞতা, তাহলেই কেবল সে ফিরে পাবে তার আত্মবিশ্বাস এবং নিজেকে উপস্থাপনে পাবে বলিষ্ঠতা। আর এ দুটোই আসতে পারে জীবনের নানা গল্প থেকে, জীবনমুখী বা কাহিনীমূলক গল্প-কবিতা নিয়মিত পাঠ-অনুশীলনের মাধ্যমে। আজকে যে শিশু, আগামীতে সে তরুণ। তাই আজকের শিশুকে আমরা গল্প-কবিতা পাঠে অনুপ্রাণীত করব এবং তার যথাযথ উপস্থাপনে সুযোগ করে দেব। এতে সে জানবে এবং বুঝবে জীবনকে, জীবন চলার পথের বর্ণীল গল্পকে। পরিশেষে সে হয়ে উঠবে একজন আত্মবিশ্বাসী সুযোগ্য সচেতন নাগরিক, স্বপ্নীল জীবনের কারিগর।