"লিডারশিপ ইন্টেলিজেন্স"বইটির ভূমিকা: আমার করপােরেট ক্যারিয়ারের বয়স ১৯ বছর চলছে। ২০০৩ সালে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করে ২০০৭-এ সিএক্সও হিসেবে কাজ করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করি। যে বয়সে অনেকে বন্ধুদের আডডায় সময় কাটিয়ে নির্ভার জীবন পার করেন, সেই বয়সে আমি সিএক্সও হিসেবে টিম বিল্ডিং, প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ইকুইটি বৃদ্ধি, বাের্ডের দেওয়া টার্গেট ছোঁয়ার অসীম চাপ সামলে নিজের নেতৃত্বগুণকে ৩৬০ ডিগ্রিতে বিকশিত করার হলিস্টিক ভিশনে নামি। মহান আল্লাহ সব সময় আমার প্রতি ভীষণ রকম পক্ষপাতিত্ব করেছেন। এটা সম্ভবত আমার মা-বাবার দোয়ার কল্যাণেই হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি, সেলসম্যানেজার, হেড অব মার্কেটিং, হেড অব বিজনেস, চিফ অপারেটিং অফিসার, সিইও বিভিন্ন দায়িত্বে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে গেল বইমেলায় ‘আমি একজন সেলসম্যান’ বইটি লিখি। কিছুটা ফিকশন ছিল। তবে তার চেয়ে বেশি ইমােশনাল ইন্টেলিজেন্স প্রয়ােগের গল্প ছিল বইটিতে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই সময়ে আর কেবলমাত্র ফাংশনাল স্কিল দিয়ে টিকে থাকা যাবে না। আবেগ ক্ষমতার প্রয়ােগই গেম চেঞ্জার হিসেবে কাজ করবে এখন। আপনি যদি নেতা হতে চান, তাহলে এই বিশেষ ক্ষমতাটির ওপর আপনার মাস্টারি দরকার। এখন যখন প্রতিনিয়ত বিজনেস ডায়নামিকস বদল হয়, তখন আপনি যদি কোনাে প্রতিষ্ঠানের লিডার হয়ে থাকেন, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আপনাকে নম্বর গেম নিয়ে দারুণ চাপ নিতে হয়। সেই চাপ সামলানাের চ্যালেঞ্জ যেমন একদিকে ঠিক, তেমনি সেই চ্যালেঞ্জ উতরিয়ে নিজেকে একজন মানবিক আবার লক্ষ্য অর্জনে সক্ষম নেতা হিসেবে উপস্থাপনের সুকঠিন কাজে নিজেকে ফিট করার দক্ষতা অর্জনও কম চ্যালেঞ্জিং নয়। সে জন্য আবেগ শক্তির প্রয়ােগ যেমন মুখ্য হবে, তেমনি কার্যকরী হবে আপনার সােশ্যাল ইন্টেলিজেন্স, কানেকটিভিটি ও স্পিরিচুয়ালিটি। এই বইয়ে আমরা কেবল আবেগ শক্তি নয়, কী করে আমরা নিজেদের সত্যিকারের নেতা হিসেবে তৈরি করতে পারব তার নানা উপায়, হ্যাকস ও জীবন থেকে নেওয়া গল্প বলার চেষ্টা করব। আশা করি এই বইটি আপনার নেতা হয়ে ওঠার পথে সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। এমন নেতা যে টার্গেট মিট করবে, কর্মীদের ভালােবাসবে, তাদের পাশে থাকবে আবার ঠিকই তাদের জবাবদিহি নিশ্চিত করবে। যার সততা ও অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
দেশের অন্যতম সফল কর্পোরেট আইকন। দুই দশকের কর্পোরেট ক্যারিয়ার তার। মাত্র ২২ বছরে কর্পোরেট ক্যারিয়ার শুরু করে ২৬ বছর বয়সে দেশের বৃহৎ একটি গ্রুপে সি-স্যুইটে যোগদান করে একজন ব্যতিক্রমী কর্পোরেট লিডার হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বর্তমানে দেশের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগ্রুপ র্যানকন এর সিইও হিসাবে র্যাংকস এফসি প্রোপার্টিস লি., র্যানকন ওশিয়ানা লি., র্যানকন সি ফিশিং লি. এবং র্যানকন ম্যারিন ফিশ প্রিসার্ভার কোম্পানির নেতৃত্ব দিচ্ছেন। পেশাগত কাজের পাশাপাশি তিনি নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত এবং একজন সোশ্যাল লিডার হিসেবেও সমধিক পরিচিত। তিনি কানেক্ট দ্য ডটস ফাউন্ডেশন নামে একটি দাতব্য সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা । তানভীর শাহরিয়ার রিমন একজন জনপ্রিয় পাবলিক স্পিকারও বটে। তিনি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে নলেজ ইনিশিয়েটিভ গুলোতে কি-নোট স্পিকার হিসেবে নিয়মিত কথা বলছেন। এত কিছুর পাশাপাশি তিনি একাধারে একজন লেখক এবং ব্লগার । ফেসবুক এবং তার ব্লগ সাইটের পাশাপাশি দেশের জাতীয় দৈনিক এবং অনলাইন সাইটগুলোতে নিয়মিত তার লিখা প্রকাশিত হচ্ছে। www.tanvirshahriarrimon.com তার বেস্ট সেলার বইয়ের তালিকায় আছে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট (আত্নউন্নয়ন মূলক, ২০২২) লিডারশীপ ইন্টেলিজেন্স (আত্নউন্নয়ন মূলক, ২০২১) এবং আমি একজন সেলসম্যান, (মোটিভেশনাল, ২০২০)