উপজেলা পর্যায়ের একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন পুলিশ অফিসারের সুদর্শন, মেধাবী ও স্মার্ট ছেলে শামিম উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর অপূর্ব সুন্দরী কন্যা শিফার প্রেমে পড়ে যায়। শিফাও তার প্রেমে সাড়া দিলে দুজনের মধ্যে কৈশোর প্রেমের এক রোমান্টিক ইতিহাস রচিত হয়। পরবর্তীতে এসএসসি পরীক্ষা পাশের পর তারা উভয়েই রাজশাহী নিউ গভর্নমেন্ট ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হলে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গভীর থেকে গভীরতর হতে থাকে। এমন সময়ে এইচএসসি পরীক্ষার পর শামিমকে তার বাবা মায়ের চাপে রাজশাহী থেকে ঢাকাতে স্থানান্তরিত হতে হয়। কিন্তু শিফাকে তার বাবা মায়ের চাপে বাধ্য হয়ে রাজশাহীতেই অবস্থান করতে হয়। বৈরী পরিস্থিতিতে দুজনের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে। এমন সময় শিফার সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাশ করা এক সুদর্শন ও ধনাঢ্য যুবক রাসেলের পরিচয় ঘটে এবং নতুন করে তাদের মধ্যে প্রেমের সূত্রপাত হয় এবং তা বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শিফার সঙ্গে রাসেলের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে এবং শিফা আমেরিকাতে পাড়ি জমায়। সেখানে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত এক যুবকের সাথে শিফার আবার বিয়ে হয়। কিন্তু সেখানেও সে সুখী হতে পারেনি। তাই প্রথম প্রেমের আকর্ষণে শিফা সবকিছু ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরে আসে। সে শামিমকে আবার খুঁজে বের করে। তাদের দুজনের মধ্যে প্রথম প্রেমের স্মৃতি নতুন ভাবে নাড়া দিয়ে ওঠে। পরিশেষে, সব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটে তাদের শুভ পরিণয় ঘটে – এ সবকিছু মিলে অভূতপূর্ব এক প্রেমের উপন্যাস অবিচ্ছেদ্য ভালোবাসা।