মাহমুদ রেজা চিন্তার জগতে কোনো সীমারেখা টানতে চাননি। তিনি বিষয় থেকে বিষয়ান্তরে অবাধে বিচরণ করেছেন। গরলকে অমৃত করার প্রয়াস পেয়েছেন। ভাবনার মোজাইক সাজিয়েছেন। অকপট বক্তব্যে পাঠককে মুগ্ধ করেছেন। কখনো তাঁর চিন্তার একঘেয়ে সমতলকে মৃদু নাড়া দিয়ে জমে থাকা আলসেমিকে নড়েচড়ে বসার সুযোগ করে দিয়েছেন। অযাচিত বিষ্ময়ে পাঠক দেখেন নতুন চিন্তার রেখা। এগিয়ে যান অনিশ্চিত আনন্দের ইশারায়। যেখানে হিল্লোলিত অনুভূতি জানা-অজানা সুরে- অনুরণিত হয়। ড. সা’দত হোসাইন সাবেক মন্ত্রীপরিষদ সচিব মাহমুদ রেজা চৌধুরী একজন সমাজমনস্ক সংবেদনশীল প্রাবন্ধিক। চৌধুরীর লেখার বিষয় নির্বাচনে, ভাষার ব্যবহারে আর যুক্তির অবতারণায় তাঁর দেশপ্রেম নিরন্তর দেদীপ্যমান থাকে। বাংলাদেশের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে তাঁর সকল ব্যবস্থাপত্রের সাথে সব সময় একমত না হয়েও পাঠক তাঁর লেখা পড়ে বরাবরই ঋদ্ধ হয়ে ওঠেন। নূরুল কবীর সম্পাদক, নিউ এইজ তাঁর লেখার বিষয়বস্তু কিন্তু বেশ বিচিত্র। রাজনীতি, সমাজনীতি, অর্থনীতি, কূটনীতি, ধর্ম, দর্শন ও মানবিকতা- সব বিষয় নিয়েই রয়েছে তাঁর নিজস্ব আলোচনা। ... তাঁর লেখার আবেদন তাই স্থান, কাল ও পাত্রের সীমা অতিক্রম কওে হয়ে উঠেছে সর্বজনীন। তাঁর বেদনা হয়ে ওঠে পাঠকের বেদনা। পাঠকও নিজের অজান্তে লেখককে আপন কওে নেন। অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় মাহমুদ রেজার সামাজিক-রাজনৈতিক বা মানবিক সমস্যা নিয়ে যে বিশ্লেষণ পদ্ধতি আমাকে সত্যিই বিস্মিত কওে তা হলো ইতিহাসকে বা একটি সমাজের ইতিহাসকে তিনি দেখতে চান একধরনের ‘সংশ্লেষক’ পদ্ধতির মাধ্যমে। সহকারী অধ্যাপক ড. আবেদিন কাদের নিউ ইয়কর্ সিটি বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর বইটিতে সংষ্কৃতি, সাহিত্য, ধর্ম, রাজনীতি, আত্মজিজ্ঞাসা ইত্যাদি প্রায় সকল বিষয়েই জ্ঞানগর্ভ আলোচনামূলক প্রবন্ধ সংকলিত হয়েছে। ডা. শওকত আরা বেগম তাঁর লেখা, শিরোনাম নির্বাচন, নানা আঙ্গিকের অনুচ্ছেদ সংস্থাপন, উদাহরণ, রূপক ও প্রতীকের ব্যবহার, সাহিত্যের রস মাধুর্য প্রয়োগ, সহজিয়া সুর প্রভৃতির রঞ্জন ব্যঞ্জনায় সুখপাঠ্য। ফ্রিল্যান্স আর্টিস্ট জাহিদ খান
জনন্ম ১৯৫৭ সালে বরিশালে। মা আক্তারী বেগম ও বাবা হোসেন রেজা চৌধুরী এর একমাত্র পুত্র সন্তান মাহমুদ রেজা চৌধুরী ১৯৮১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। ছাত্র রাজনীতি ও জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ না করলেও তিনি সমাজ ও রাজনীতি বিষয়েই প্রধানত লেখেন। ১৯৮৬ সাল থেকে শুরু করে প্রায় দু'যুগেরও বেশী সময় ধরে রাজনীতি বিশ্লেষক, দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী জনাব চৌধুরী দেশে-বিদেশের সুপ্রতিষ্ঠিত ও সুপরিচিত পত্র-পত্রিকায় লিখে আসছেন। তার লেখার প্রেক্ষাপট আমাদের ক্ষয়িষ্ণু মূল্যবোধ, রাজনৈতিক সচেতনতা, সমাজতাত্বিক দৃষ্টিকোণের উপস্থাপন এবং বিশ্লেষণ। লেখকের কাথায় লেখালেখি হচ্ছে "নিজের প্রতি তার সামাজিক দায়িত্ববোধ চর্চার ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা"। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র থাকাকালিন তিনি ডাক্স বিতর্ক প্রতিযোগিতা এবং জাতীয় টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতায় এস. এম হলের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং শ্রেষ্ঠ বক্তার সম্মানও অর্জন করেন। এক সময়ে জাতীয় বেতারের সংবাদ পাঠক ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় খ্যাতি অর্জনকারী জনাব চৌধুরী ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে "মুক্ত ফোরাম" নামে একটি সামাজিক থিংক ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ভয়েস অব আমেরিকার একজন অনিয়মিত কন্ট্রিবিউটর। পেশাগত জীবনে তিনি সুদীর্ঘকাল আন্তর্জাতিক ও বহুজাতিক শিপিং কর্পোরেশনে সেলস্ মার্কেটিং এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।