কখনো কি ভেবেছি, ইন্টারনেট-টেলিভিশনের সহজলভ্যতা আমাদের শিশু-সন্তানদের কোন পথে নিয়ে যাচ্ছে? যে বয়সটা শেখার, মানস গঠনের এবং নিজেকে গড়ে তোলার—সে বয়সে আমাদের শিশুরা ডিসি-মার্ভেল, হ্যারি পটার, সুপার হিরো আর ঠাকুর মা’র ঝুলি নিয়ে ব্যস্ত। ভিন ধর্ম ও সংস্কৃতি-প্রভাবিত গল্প-সিনেমা-গেমস তাদের মানসিকতাকে ইসলাম ও মুসলিম সংস্কৃতি থেকে বহু দূরে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে একটু বড় হলে যখন আমরা তাদেরকে ধর্ম ও নৈতিকতার কথা বলি, ইবাদাত-বন্দেগীর প্রতি উৎসাহিত করি, তখন এসব কথা তাদের মনে কোনো রেখাপাত করে না। আমাদের মুসলিম সমাজে ৪০ হাদীসের চর্চা বহুল প্রচলিত ও বরকতময় একটি সংস্কৃতি। ইসলামকে যাঁরা নিজেদের জীবনে ধারণ করতে আগ্রহী, তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেই ৪০ হাদীসের চর্চা ও হাদীস থেকে আহরিত শিক্ষা নিজেদের জীবনে গুরুত্বের সঙ্গে লালন করেন। শিশুরা গল্প ভালোবাসে। আচ্ছা, কেমন হয়, হ্যারি পটার আর ঠাকুর মা’র ঝুলি ইত্যাদির বিপরীতে যদি আমাদের শিশু সন্তানদের সামনে গল্পে গল্পে ৪০টি হাদীস উপস্থাপন করা যায়? হাদীস ও গল্পের ভাষ্য থেকে প্রাপ্ত শিক্ষা যদি তারা গল্পচ্ছলেই ধারণ করে নিতে পারে নিজেদের মধ্যে? নিশ্চয় উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ-গঠনে হাদীস থেকে আহরিত এসব শিক্ষা তাদেরকে পথ দেখাবে, ইনশাআল্লাহ। মাকতাবাতুল আসলাফ এই মহৎ চিন্তা ও লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বক্ষ্যমাণ বইটি প্রকাশ করেছে। প্রসিদ্ধ ৪০টি হাদীসের আলোকে বিদেশি শিশু সাহিত্যিক ড. ইয়াসার কান্দেমির লিখিত শিশুদের জন্য শিক্ষণীয় ও আনন্দদায়ী ৪০টি গল্প দিয়ে সাজানো হয়েছে বইটি। বাংলা ভাষ্যে রূপান্তরের সময় আমাদের অনুবাদক ও সম্পাদক একদম শিশুদের উপযোগী ভাষা ব্যবহার করেছেন; যেন বাংলা-অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন প্রতিটি শিশুই আনন্দের সঙ্গে গল্পগুলো হৃদয়ঙ্গম করতে পারে। পাঠের এ আনন্দকে আরও আকর্ষণীয় করতে বইয়ের প্রতিটি পৃষ্ঠায় ব্যবহার করা হয়েছে গল্পের সঙ্গে মানানসই এবং শিশুদের চোখজোড়ানো নান্দনিক নানা চিত্র। প্রয়োজনে অভিভাবকরা এসব চিত্র দেখিয়ে দেখিয়ে শিশু-সন্তানকে গল্পগুলো পড়ে শোনাতে পারেন। চিত্র বা ছবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা এ বিষয়ক শরয়ী দৃষ্টিকোণ সচেতনতার সাথে বিবেচনা করেছি এবং বিজ্ঞ আলিমদের পরামর্শ গ্রহণ করেছি। তাঁদের পরামর্শ অনুযায়ী চিত্রে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রাণির মুখাবয়ব মুছে ফেলা হয়েছে। ‘গল্পে আঁকা ৪০ হাদীস’ আপনার কোমলমতি শিশুর ভবিষ্যৎ-জীবন গঠনের পথনির্দেশিকা হোক, এই প্রার্থনা আল্লাহ তাআলার দরবারে। শুরু ও শেষে, সর্বাবস্থায় সকল প্রশংসা কেবল তাঁরই জন্য। সবার জন্য শুভেচ্ছা।
In this book -"A Historical Analysis of the Development of Socio-economic economic Thought" the author attempts to compare major approaches of socio-economic developments with special reference to economic management. He reviews the Greek and Roman thoughts on statecrafts. He also refers to the rise of Islamic state management system in the 7th and 8th centuries, and its supremacy over other systems during the next few centuries. AS is well- known, Islam as a complete code of life prescribes among many other things principles of economic management to be applied in state management. Application of these principles was observed in the early stages of Islamic caliphate because the state of the economy had been a major concern o-f Islamic Caliphate. Whenever and wherever Islamic Caliphate was established reforms took place based on Islamic economics for betterment of human life including poverty alleviation, an important imperative of economic management. It is interesting to note that Muslim scholars while theorizing Islamic economics discussed problems of poverty alleviation, equity, inequality and economic injustice long before the European scholars were engaged in similar discourses. The author attempts to highlight some of these events of history. However, he also describes the gradual decay of Islamic state and economic management systems, and the subsequent rise of Western system as a substitute of Islamic system. The Western system as history shows has dominated the world state craft and economic management system ever since its rise. But looking at the global instability, exploitation of the poor by the rich, in justice, prevalence of terrorism, etc, the author argues that neither the communism nor the Western capitalism could resolve the political, economic and socio-cultural problems the world has been suffering from. Contrary to the belief of the Western scholars, the author finds a re-emergence of Islamic socio-economic thoughts in the late 20th century. He strongly feels that the Islamic system will be a good substitute for western system. The author concludes that the process of reestablishing this system has started for the benefit of not only the Muslim countries but of the world as a whole. Islamic economists are rising to the need of the time and putting their scholarly input to design and reinstitute a new system (Islamic) which will work as a cure of the global ills that conventional economics has failed to address. This book will be a recognizable contribution to the pool of new literature on Islamic economics. In this book, the author has tried to make a comparative study of the state of affairs of the two systems of economics in their broad spectrums and their potentials to face the onslaught of current crises in economies of different countries. In doing so, he has demonstrated the comparative advantage of Islamic economics management proposition. This publication will be a timely one and encourage the new comers to carry on research in this new field of study of economics.