অপূর্ব সুন্দরী তাবাসসুম কলি প্রাক্তন মন্ত্রী ও শিল্পপতির কন্যা। চাকরি করতে আসে একটা হাউজিং কোম্পানিতে। এক রুমে বসে কলি, আহসান, জয়নাল চাকলাদার আর আবদুল মতিন। তিনজন পুরুষের মধ্যে একজন সুন্দরী, জমে ওঠে খেলা। আহসান পারতো তখনই... এখনই...। চাকলাদারও প্রস্তুত দাঁতে শান দিয়ে। মতিন নিরাপদ দূরত্বে বসে খেলা দেখলেও কলি এগিয়ে আসে দুই হাত বাড়িয়ে...। কিন্তু ইশরাত জাকিয়াও যে অপেক্ষা করছে মতিনের জন্য। ত্রিমুখী লড়াইয়ের মধ্যে চতুর্থ চরিত্র ইশরাত। ওকে কিভাবে পোষ মানাবে মতিন? ষড়যন্ত্র আর নাগরিক কোলাহলের মধ্যে 'এক টুকরো কাগজ' উপন্যাসের আগ্রাসী চরিত্রের আস্ফালন, চারপাশে লালসায় জারিত কমিকদের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষার কৌসুলী লড়াই সুন্দরী কলি’র, ইশরাতের অবাক আগমন গোটা উপন্যাসের আখ্যান পাঠকদের এক ভিন্ন জগতে নিয়ে যায়। এতো সর্বনাশের, এতো ষড়যন্ত্রের, এতো কুৎসিত কামনার মানচিত্রে মানুষ বাস করে কেমন করে? থ্রিল, অভিসার, রক্তাক্ত আখ্যানের পাতায় পাতায় ফোটে কলি। গাহে ভোরেরও বাতাস...। ‘এক টুকরো কাগজ’ উপন্যাস পাঠ করবার পর প্রশ্ন জাগবে, এতো ক্লেদাক্ত বিপন্ন সর্বনাশের পরও মানুষ বাঁচে কেমন করে? কিন্তু মানুষ নিজস্ব রসায়নে বেঁচে থাকে, অন্যকেও সঙ্গে রাখে। মর্মান্তিক মহৎ উপন্যাস ‘এক টুকরো কাগজ'। প্রেমে ও সর্বনাশের বিষে মাখানো উপন্যাস ‘এক টুকরো কাগজ'।
জন্ম ১৯৬৮ সালে পহেলা মে [সার্টিফিকেট অনুসারে] বৃহত্তর বরিশালের পিরোজপুর জেলার ভানডারিয়া উপজেলার বোথলা গ্রামে, প্রমত্ত কচানদীর পারে। শৈশব থেকে লেখালেখির শুরু।