পৃথিবীর সর্বকালের সবচেয়ে বড় অমীমাংসিত রহস্য সম্ভবত ভূত। মানুষের চিরন্তন আগ্রহ আর রহস্যময়তার কারণে ভূত বিষয়টির জনপ্রিয়তা কখনোই কমেনি। সবার একই চিন্তা—ভূত আছে, নাকি নেই। আধুনিক বিজ্ঞান ভূত বিষয়টিকে স্বীকার করে না। আবার এমন হাজারো ঘটনা আছে যেগুলোর কোনো গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা বিজ্ঞান দিতে পারেনি। আর তখনই দ্বিধা বাড়ে তাহলে কী সত্যি ভূত বলে কিছু আছে? পৃথিবীর নানা প্রান্তের উপকথা, গল্প এবং জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে ভূতের উল্লেখ রয়েছে। বলা হয়েছে ভূত হলো আত্মা বা স্পিরিট। একজন মানুষের মৃত্যুর পর তার অদৃশ্য উপস্থিতি। যদিও তার বিবরণ সর্বত্র এক নয়। কোথাও বায়বীয় কোথাও জলের মতো কোথাও ছায়া আবার কোথাও তারা পশু পাখির অবয়বে বিরাজমান। মৃত্যুর পরে আত্মার অস্তিত্ব বিদ্যমাণ থাকে কি থাকে না, তা নিয়ে দর্শনশাস্ত্র যতটা না ভেবেছে, তার চেয়ে অনেক বেশি ভেবেছেন ভৌতিক গল্পের রচয়িতারা। আর এই সব কাহিনির শ্রোতা-পাঠকও তাদের অবিশ্বাসকে মুলতবি রেখে শুনে অথবা পড়ে গিয়েছে ভূতের গল্প যুগের পরে যুগ ধরে। কিন্তু গল্পের শেষে সেই প্রশ্নটাই উঠেছে ভূত কি সত্যিই আছে? ভূত নামের এই অদৃশ্য অলৌকিক এবং কাল্পনিক অবয়বটির প্রতি কমবেশি সবারই প্রবল অনুসন্ধিৎসা। এই অমীমাংসিত রহস্য-ভূত নিয়ে আমাদের আয়োজন, দুই বাংলার ভূতের গল্প।