বিয়েটা হয়েছে, বেশ কদিন। একদিকে লেখা-পড়া অন্যদিকে পাঁচ জনের সংসার, সেকি কম ঝামেলার। নমিতা সদ্যবিবাহিতা হয়ে যখন এ সংসারে এসেছে তখন থেকেই মনে একটা স্বপ্ন পুষে রেখেছিল, সেটি হলো লেখা-পড়াটা শেষ করতে চায়। বাপের বাড়ি থাকা কালীন বাবা-মাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু নমিতার বাবা-মা তা মানতে নারাজ। অবশ্য এতে তাদেরকে দোষী করে কী লাভ। এখনকার ছেলে-মেয়েরা তাদের জগতটাকে এমনভাবে প্রসারিত করেছে, উপযুক্ত সন্তান থাকলেই মাথার উপর বোঝা। তার উপর মেয়ে হলে কথাই নাই। তাদের পছন্দ-অপছন্দ কোনো সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। কখন কার কাছে কথার বাঁধনে আটকে যায় তখন পরিবার, সমাজ মান-সম্মান সব ভুলে সেই অন্তরীক্ষের সপ্তম আচার্যের পিছনে ছুটতে শুরু করে। পূর্বের সব বাঁধনই ভুলে যায়। নমিতার বাবা একটি সম্পর্কে খোঁজ পেয়েছেন। যেখানে নমিতাকে বিয়ে দেয়া হলে নমিতা সুখেই থাকবে। নমিতার বাবা মনে করেন, মেয়েদের আবার লেখাপড়া। সন্তান উপযুক্তভাবে মানুষ করতে যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু হলেই হয়। তারপরও লেখাপড়া করতে চাইলে, যাও বাবা, স্বামীর ইচ্ছাতে স্বামীর বাড়ি গিয়ে করো আমার তাতে কোনো আপত্তি নেই। সেজন্য নমিতার কোনো রকম সিদ্ধান্তই কাজে আসেনি। বাবা-মায়ের সিদ্ধান্ত মেনেই বিয়েটা করতে হলো। বিয়ের পরে নমিতা বেশ খুশিই ছিল। যৌথ পরিবারে বিয়ে হয়েছে। বাবা-মা, ভাই-বোন সাথে প্রিয় স্বামী সবমিলিয়ে ভালই ছিল।