‘এমন জীবন তুমি করিবে গঠন/মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন-কবির বাণীর মতো প্রত্যেক মানুষের অর্থপূর্ণ জীবনই সকলের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য ও নিরাপদ হিসেবে তৈরি করতে পারে। ইতিহাসের পরিক্রমায় সুন্দর, সুস্থ, সুশৃঙ্খল ও মানবিক পৃথিবী বিনির্মাণের স্বার্থে অসংখ্য মানুষের ত্যাগ ও সুমহান অবদান রয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠায় অকৃত্রিম অবদান রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের বহুমুখিতা, ক্যারিসমেটিক দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা বিশ্বব্যাপী সমাদৃত এবং আন্দোলন-সংগ্রাম ও মাহাত্ম্যের স্বার্থে বঙ্গবন্ধু একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন পেয়েছিলেন। কেননা তিনি দীর্ঘদিন ধরে নির্যাতন ও শোষণের মধ্যে বেড়ে ওঠা একটি জাতিকে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বীকৃতি উপহার দিতে পেরেছেন। দেশভাগের কিছুদিন পর থেকেই শোষণের মাত্রা ও আকাক্সক্ষার বেদনায় পর্যবসিত হয়ে ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৭১-এর মহান স্বাধীনতাযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলনে অগ্রসেনানীর ন্যায় ভূমিকা পালন করে শেখ মুজিব বঙ্গবন্ধু এবং বিশ^বন্ধুতে সমাদৃত হন। বহির্বিশে^ শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও দেশগুলোর মধ্যকার পারস্পরিক সম্পর্ক অটুট রাখার প্রয়াসে বঙ্গবন্ধু নিরলস কাজ করেছেন। সমসাময়িককালে সমগ্র বিশে^ বঙ্গবন্ধুর জীবন-সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পরিচালনা ও স্বদেশ বিনির্মাণ, নীতি ও আদর্শের ওপর আলোচনা হচ্ছে এবং বঙ্গবন্ধুর অনুসৃত নীতি ও আদর্শ বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে আরো বেশি প্রাসঙ্গিক মর্মে বোদ্ধারা মতামত দিচ্ছেন।