‘নাট্য ঐতিহ্য ও বাংলাদেশের নাটক’ গ্রন্থটি ষোলটি প্রবন্ধের সংকলন। এ গ্রন্থ ঐতিহ্যবাহী ধারার হাজার বছরের নাট্য বৈশিষ্ট্য ও বাংলাদেশের চর্চিত নাট্যধারাকে তুলে ধরবে। রুশ দেশীয় জনৈক লেবেদেফ থেকে এ দেশের নাট্যচর্চা শুরু কিংবা আধুনিকতার শুরু নয়। বাংলা নাটকের ইতিহাস হাজার বছরের পুরোনো। এ গ্রন্থভুক্ত ‘আমাদের সংস্কৃতি আমাদের নাটক’ শিরোনামের প্রবন্ধটি মহাকাল নাট্যসম্প্রদায় আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক বাংলা নাট্য উৎসব’ এর সেমিনারে পঠিত এবং ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নাট্যচর্চা’ প্রবন্ধটি বঙ্গীয় সাহিত্য-সংস্কৃতি সংসদ আয়োজিত সেমিনারে পঠিত। বাকি অন্যান্য প্রবন্ধ সাহিত্য শিল্প সংস্কৃতি বিষয়ক মাসিক ‘কালি ও কলম’, চিত্রকলা ও সংস্কৃতি বিষয়ক ‘শিল্প ও শিল্পী’, সাহিত্যপত্র ‘পরস্পর’, সাহিত্যওয়েব ‘আর্টস বিডি ডটকম’, লিটলম্যাগ ‘প্রতিস্বর’ গ্রাম থিয়েটারের মুখপত্র ‘গ্রাম থিয়েটার’ এ বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত। প্রথম তিনটি প্রবন্ধ ‘আমাদের সংস্কৃতি আমাদের নাটক’, ‘বাংলার নাট্য ঐতিহ্য’ ‘ঐতিহ্যের ধারায় বাংলাদেশের নাট্যচর্চা’ আমাদের এ ভূখণ্ডের হাজার বছরের সংস্কৃতি, নাট্য ঐতিহ্য ও নাট্যচর্চা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ইতিহাসের নানা ঘূর্ণাবর্তে এ ভূখণ্ডে নাটকের প্রবহমানতা ও বৈশিষ্ট্যগুলোকে বিবৃত করা হয়েছে। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় সমকালীন বাংলাদেশের নাট্যচর্চার রূপরেখা তুলে ধরা হয়েছে। ‘সেলিম আল দীনের ঐতিহ্যবিকাশী ভাবনা’, ‘জাতির আত্মপরিচয়ের পথ দেখায় সেলিম আল দীন’ শিরোনামের প্রবন্ধ দুটিতে বাংলা নাট্য আন্দোলনের পুরোধা সেলিম আল দীন কীভাবে ঐতিহ্যিক উপকরণকে মূলে রেখে দেশীয় শিল্পের আন্তর্জাতিক নন্দনে বিকাশোপযোগী করতে সচেষ্ট ছিলেন তা আলোচনা করা হয়েছে। তার নাটকগুলোতে কীভাবে দেশজ ভাবনার সমকালীন বৈশ্বিক শিল্পভাবনায় স্ফুরণ ঘটিয়েছেন তার পর্যালোচনা করা হয়েছে। বাঙালি জাতির সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয় কেন প্রয়োজন, কীভাবে সম্ভব, উপনিবেশের জ্ঞানতত্ত্বকে প্রত্যাখ্যান করে কীভাবে সেলিম আল দীন কীভাবে এগিয়েছেন তা তুলে ধরা হয়েছে।