অনেকগুলো চলচ্চিত্র দেখে, চলচ্চিত্র বিষয়ক কিছুবই পড়ে, অনেকের সঙ্গে কথা বলে এই লেখাটি আমি লিখেছি। যত বই পড়েছি, তার কয়েকটার উল্লেখ করা যায়, কিন্তুকতজনের সঙ্গে আলাপ করে সমদ্ধৃ হয়েছি, তাদের বক্তব্য-মšবÍ ্য থেকে আমি কত উপকৃত হয়েছি, সবার নাম কি লেখা যাবে? কৃতজ্ঞতা স্বীকার করা ছাড়া আর কী ই বা করতে পারি! তাদের কাছে আমার ঋণ অপরিশোধ্য হয়ে রইলো। ষাট বছরের সিনেমা শিল্পের তথ্য সংগহ্র ও বিশেষø ণ একটি দরুƒহ বিষয় হতে পারে, কিন্তুএই আলোচনার অসংগতি, তথ্যগত বিভ্রান্তি, ভাষাগত অশুদ্ধি এই বইতে যা আছে, সব আমার সীমাবদ্ধতা। এ জন্য আমি দায়ী থাকলাম। সিনেমা, মুিভ, ফিল্ম, মোশন পিকচারÑ এসব শব্দের সক্ষূ èপারিভাষিক অথের্র পার্থক্য আমরা কমবেশি সবাই জানি। কিন্তুবাংলা ভাষায় এদের পারিভাষিক প্রতিশব্দ এখনো সর্বজনগ্রাহ্য হয়ে ওঠেনি। আপাততঃ কোনো বিতর্কেনা গিয়ে, এই আলোচনায় চলচ্চিত্র শব্দটির যথেচ্ছ ব্যবহার করেছি। আবার শব্দটি বারবার ব্যবহার করলে শ্রুতিমধুর হবে না ভেবে, চলচ্চিত্র বলতে মাঝে মাঝে ‘ছবি’ শব্দটিও ব্যবহার করেছি। বিদেশি লেখক ও শব্দের উচ্চারণ প্রসঙ্গে আমি অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত উদারতা দেখাতে চেয়েছি। আমি মনে করি, বাঙালিরা ‘আদ্রেবাঁজ’কে ‘আদ্রে বাজান’ ডাকলে ক্ষতি নেই, কারণ বিদেশিরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উচ্চারণই করতে পারবে না, ওদের ভাষায় সেই ধ্বনিই যদি না থাকে।
Title
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র : দেশকাল ও শিল্পরূপ (১৯৪৭-২০১৭)
আহমদ বশীরের প্রথম গল্পগ্রন্থ অন্য পটভূমি প্রকাশিত হয় ১৯৮১ সালে, যা হুমায়ুন কাদির সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছিল ১৯৮২-তে। তারপর আরো দুটো ছোটগল্প সংকলন প্রকাশিত হলেও লেখক কোনো এক অজ্ঞাত কারণে সাহিত্যজগৎ তেকে স্বেচ্ছা-নির্বাসনে চলে যান। হঠাৎ মৌনতা ভেঙে, কোনো এক মহাশক্তির কল্যাণে, আবার লেখালেখি শুরু করেছেন। রাহুচক্রের আহ্বানে আবার যদি কৃষ্ণগহ্বরে হারিয়ে যান এই লেখক, কারও বুঝি কিছু বলার থাকবে না সেই দিন।