শিক্ষাব্যবস্থার সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ স্তর হচ্ছে প্রাক—প্রাথমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা। শিক্ষার এ স্তর পরবর্তী সকল স্তরের ভিত্তি রচনা করে বিধায় মানসম্মত উপযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন কমিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৌলিক প্রশিক্ষণের জন্য ডিপিএড কোর্সের শিক্ষাক্রম ও বিভিন্ন বিষয়ের পাঠ্য বই প্রণয়ন করেছেন। উন্নতর প্রশিক্ষণের জন্য ২০১২ সাল থেকে ১৮ মাস মেয়াদি এই ডিপ্লোমা কোর্সটি মূলত চাকরিরত প্রশিক্ষণবিহীন শিক্ষক/শিক্ষিকাদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিতে অনবদ্য ভূমিকা পালন করছে। এরই মধ্যে সারাদেশে মোট ৬৭টি পিটিআই এর মধ্যে ক্যাচমেন্ট এরিয়ার ভিত্তিতে বর্তমানে ৪৬টিতে ডাবল শিফট চালু রয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গৃহীত সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। করোনা মহামারির জন্য মার্চ ২০২০ থেকে সরাসরি ক্লাসের ব্যবস্থা না থাকায় প্রশিক্ষণার্থীদেরকে তাদের পঠিতব্য বিষয়ের উপর অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি ইনকোর্স মূল্যায়নের জন্য বুক রিভিউ, অ্যাসাইনমেন্ট, কর্মসহায়ক গবেষণা ও কেইস স্ট্যাডির জন্য বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। কিন্তু এ সমস্ত কাজে প্রশিক্ষণার্থীরা অভ্যস্থ না থাকায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে সিসটেক পাবলিকেশন্স দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকবৃন্দের কাক্সিক্ষত চাহিদা পূরণে উক্ত বিষয়সমূহের উপর ডিপিএড সাপ্লিমেন্টস্ নামে একটি সহায়ক বই প্রকাশের জন্য এগিয়ে এসেছে। গ্রন্থটি সহজবোধ্য, সাবলীল, বিশ্লেষণধর্মী, তথ্যনির্ভর সর্বোপরি মানসম্পন্ন করতে আমাদের সার্বিক প্রচেষ্টায় কোনো কার্পণ্য ছিল না। তদুপরি অনিচ্ছাকৃত কিছু ত্রুটি—বিচ্যুতি থেকে যেতে পারে। এই ত্রুটি—বিচ্যুতি সংশোধনে এবং গ্রন্থের মানোন্নয়নে সকল পর্যায়ের সু—পরামর্শ আন্তরিকভাবে গৃহীত হবে। এছাড়া বইটির আঙ্গিক সৌষ্ঠবে, প্রমাদ সংশোধন ও মুদ্রণে যে যেখান থেকে যতটুকু সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তাঁদের সকলকে আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। পরিশেষে যাদের জন্য গ্রন্থটি প্রণীত হয়েছে তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জীবনে যদি এটি সহায়ক হিসেবে ন্যূনতম ভূমিকা পালন করে তবেই আমাদের প্রচেষ্টা সার্থক হবে বলে মনে করবো। ম্যানেজিং ডিরেক্টর সিসটেক পাবলিকেশন্স