ভারতবর্ষ হলো হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্মের উৎপত্তিস্থল। এই চারটি ধর্ম একত্রে ভারতীয় ধর্ম নামে পরিচিত। বর্তমানে হিন্দু ও বৌদ্ধধর্ম যথাক্রমে বিশ্বের তৃতীয় ও চতুর্থ বৃহত্তম ধর্মবিশ্বাস। এই ধর্মগুলোর প্রতিটির মধ্যেই রয়েছে প্রগাঢ় সম্পর্ক। ভারতীয় সমাজে এসব ধর্মের প্রভাব ছিল অপরিসীম। হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্মের ইতিহাস গ্রন্থে তুলে ধরা হয়েছে ভারতবর্ষের ধর্মসমূহের উপাখ্যান। আর এগুলোর রেফারেন্স আনা হয়েছে সেসব ধর্মের লেখকদের লেখা থেকেই। গ্রন্থটিতে দেখানো হয়েছে সেখানের অসংখ্য মানুষ আল্লাহকে বাদ দিয়ে গাছ-পাথর, মানুষ-জিন ও প্রাকৃতিক শক্তিগুলোকে উপাস্যরূপে কীভাবে গ্রহণ করেছে। গ্রন্থটি অধ্যয়নে পাঠক হয়তো সৌভাগ্যের পরশে সিজদাবনত হবেন দয়াময় রবের দরবারে। অনুধাবন করবেন, আল্লাহর দরবারের একটি সিজদা কীভাবে আপনাকে মুক্তি দিয়েছে অসংখ্য সৃষ্টির সামনে মাথা ঝোঁকানো থেকে। আলহামদুলিল্লাহি আলা নিমািতল ইসলাম। গ্রন্থটি রচনা করেছেন ড. জিয়াউর রাহমান আজমি। ১৯৪৩ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের উত্তর প্রদেশের আজমগড়ের বিলিরিয়াগঞ্জে এক ধনাঢ্য হিন্দু-পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তখন তাঁর নাম ছিল বাঁকেলাল। ১৬ বছর বয়সে তিনি মাধ্যমিক স্তরে অধ্যায়নকালে ইসলামগ্রহণ করেন। পরে জিয়াউর রাহমান নাম গ্রহণ করেন। স্বজাতির নিগ্রহের শিকার হয়ে তিনি প্রথমে পাকিস্তান, এরপর সৌদি আরবে পাড়ি জমান। সেখানে তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স ও মক্কার কিং আবদুল অািজজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি এবং মিসরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনে তিনি মদিনা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর নিযুক্ত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। হাদিস অনুষদের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তাঁকে সৌদি আরবের নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২০ জুলাই এই মহান মনীষী ইনতিকাল করেন।