বাঙালির আত্মপরিচয় ও গৌরবময় ইতিহাস বিশ্বজনীন স্বীকৃত ও সমাদৃত। এই পরিচয়কে যেসব বাঙালি উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও শ্রেষ্ঠত্বের আসনে সমাসীন করে রেখেছেন। তাঁদের মধ্য থেকে ২০ জন শ্রেষ্ঠ বাঙালির জীবনী নিয়ে গ্রন্থটি সাজানো হয়েছে। বাংলা ও বাঙালির ইতিহাস হাজার হাজার বছরের ঐতিহ্য লালিত। তাঁর সাংস্কৃতিক পরিচয় অত্যন্ত সমৃদ্ধ। সাম্প্রতিক ওয়ারি বটেশ্বর, মহাস্থানগড়ের প্রত্নস্বাক্ষ্য প্রমাণ করে এ ইতিহাস প্রায় তিন থেকে চার হাজার বছরের। অজয়, করতোয়া, গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা প্রভৃতি নদ- নদীর তীরবর্তী হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি শবর, পুলিন্দ, দ্রাবিড়, সনিষাদ, কোল, ভীল, গঙ্গোরিডি, দাস, দস্যু, শূদ্র, কিরাত, আর্যদের নিয়ে গঠিত বাঙালি জাতিসত্তার সমৃদ্ধ ইতিবৃত্ত। এই ভূ-খণ্ডের ৪৫টি নৃ-গোষ্ঠী বাঙালি জাতি ও সংস্কৃতিকে করেছে সমৃদ্ধতর । নিষাদ, কোল, ভীল, গঙ্গোরিডি, দাস, দস্যু, শূদ্র, কিরাত, আর্য, বৈদিক, প্রাচ্যপ্রাকৃত, মাগধি প্রাকৃত, মাগধি, মৈথিলী, বাংলা ভাষার পথ ধরে রচিত হয়েছে এ ভূ-খন্ডের মানুষের সাহিত্য। চর্যাপদ, মৈমনসিংহ গীতিকা তথা প্রাচীন, মধ্যযুগীয় এবং আধুনিক সাহিত্যে আমাদের সমৃদ্ধ ইতিহাস ছড়িয়ে রয়েছে। বাঙালির আত্মপরিচয়, কীর্তি, অর্জন, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও রাজনৈতিক ইতিহাসের গৌরবময় অধ্যায়ের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস শ্রেষ্ঠ বাঙালিদের জীবন ও কর্মের আলোচনা। আমাদের পূর্ববর্তী নমস্য ইতিহাসবিদ, ভাষাবিজ্ঞানী, লোকবিজ্ঞানী, বিজ্ঞানী, কবি-সাহিত্যিক বাঙালির গৌরবময় ঐতিহ্যের আবিষ্কার ও জনসমক্ষে আনবার যে পথের সূচনা করে গেছেন সে পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমাদের পথচলা। তাছাড়া বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালিদের ইতিহাস বাঙালির বিশ্বজনীন স্বীকৃতি ও গৌরবময় পরিচয়ের অনবদ্য অধ্যায়।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।