বাবুল চোদ্দো বছরের এক কিশোর। খালের মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে খুঁজে পায় যুদ্ধাহত মুমূর্ষু মুক্তিযোদ্ধা সালামকে। তাকে বাঁচানোর জন্য সে যখন বদ্ধপরিকর, রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি মিলিটারি আটক করে তাকে আর মুক্তিযোদ্ধা সালামকে। শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন। মনে মনে পরিকল্পনা করে মিলিটারি ক্যাম্প থেকে পালানোর। সালাম তাকে সন্ধান দেয় গোপন অস্ত্র আর গ্রেনেডের। আর বলে, পারলে যেন অস্ত্র আর গ্রেনেডগুলো তুলে দেয় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। এক সময় পালাতে সক্ষম হয় বাবুল। খুঁজে পায় গোপন অস্ত্র আর গ্রেনেড। প্রতিশোধের আগুনে তখন জ্বলছে সে। তাই নিজেই ব্যবহার শুরু করে ঐ অস্ত্র আর গ্রেনেড। গোপনে আক্রমণ শুরু করে রাজাকার আর পাকিস্তানি সৈনিকদের ওপর। বাবুলের একটার পর একটা আক্রমণে হতবিহŸল হয়ে পড়ে মিলিটারিরা। বাবুল ততক্ষণে পরিচিতি পেয়েছে গেরিলা বাবুল নামে। গেরিলা বাবুলের আতঙ্কে তখন রাজাকাররা ঘরবন্দি, মিলিটারিরাও যেন বের হতে পারে না টহলে। শেষে মিলিটারি ক্যাম্পের ইনচার্জ নির্দেশ দেয় জীবিত কিংবা মৃত যেভাবেই হোক আটক করতে হবে বাবুলকে। তার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করে তারা। অতিরিক্ত মিলিটারি নিয়ে আসে ক্যাম্পে। শুরু হয় অভিযান। অভিযানের তীব্রতায় বাড়িতে থাকতে পারে না বাবুল। বিলের মধ্যেও তার পিছু লাগে রাজাকার আর মিলিটারি। এই যেন তাকে ধরে ফেলল! শেষ পর্যন্ত বাবুল কি নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছিল? নাকি নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল পাকিস্তানি মিলিটারিদের বন্দিশালায়? বাবুল চোদ্দো বছরের এক কিশোর। খালের মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে খুঁজে পায় যুদ্ধাহত মুমূর্ষু মুক্তিযোদ্ধা সালামকে। তাকে বাঁচানোর জন্য সে যখন বদ্ধপরিকর, রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি মিলিটারি আটক করে তাকে আর মুক্তিযোদ্ধা সালামকে। শুরু হয় অমানুষিক নির্যাতন। মনে মনে পরিকল্পনা করে মিলিটারি ক্যাম্প থেকে পালানোর। সালাম তাকে সন্ধান দেয় গোপন অস্ত্র আর গ্রেনেডের। আর বলে, পারলে যেন অস্ত্র আর গ্রেনেডগুলো তুলে দেয় মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। এক সময় পালাতে সক্ষম হয় বাবুল। খুঁজে পায় গোপন অস্ত্র আর গ্রেনেড। প্রতিশোধের আগুনে তখন জ্বলছে সে। তাই নিজেই ব্যবহার শুরু করে ঐ অস্ত্র আর গ্রেনেড। গোপনে আক্রমণ শুরু করে রাজাকার আর পাকিস্তানি সৈনিকদের ওপর। বাবুলের একটার পর একটা আক্রমণে হতবিহŸল হয়ে পড়ে মিলিটারিরা। বাবুল ততক্ষণে পরিচিতি পেয়েছে গেরিলা বাবুল নামে। গেরিলা বাবুলের আতঙ্কে তখন রাজাকাররা ঘরবন্দি, মিলিটারিরাও যেন বের হতে পারে না টহলে। শেষে মিলিটারি ক্যাম্পের ইনচার্জ নির্দেশ দেয় জীবিত কিংবা মৃত যেভাবেই হোক আটক করতে হবে বাবুলকে। তার জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করে তারা। অতিরিক্ত মিলিটারি নিয়ে আসে ক্যাম্পে। শুরু হয় অভিযান। অভিযানের তীব্রতায় বাড়িতে থাকতে পারে না বাবুল। বিলের মধ্যেও তার পিছু লাগে রাজাকার আর মিলিটারি। এই যেন তাকে ধরে ফেলল! শেষ পর্যন্ত বাবুল কি নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছিল? নাকি নির্মম পরিণতি বরণ করতে হয়েছিল পাকিস্তানি মিলিটারিদের বন্দিশালায়?
লেখক মোশতাক আহমেদ এর জন্ম ১৯৭৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর, ফরিদপুর জেলায়। পেশায় একজন চাকুরিজীবী হওয়া সত্ত্বেও লেখালেখির প্রতি তাঁর আগ্রহ প্রচুর। এ পর্যন্ত সায়েন্স ফিকশন নিয়েই সবচেয়ে বেশি লিখেছেন। বাংলা সায়েন্স ফিকশন জগতে তার পোক্ত একটি অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও মোশতাক আহমেদ এর বই সমূহ ভৌতিক, প্যারাসাইকোলজি, মুক্তিযুদ্ধ, কিশোর ক্ল্যাসিক, ভ্রমণ ইত্যাদি জঁনরাতে বিভক্ত। যেকোনো একটি বিষয়ে সীমাবদ্ধ না থেকে তিনি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখতেই পছন্দ করেন। মোশতাক আহমেদ এর বই সমগ্র সংখ্যায় পঞ্চাশ পেরিয়েছে। তাঁর প্রথম প্রকাশিত বই ছিল ‘জকি’। এটি একটি জীবনধর্মী উপন্যাস। ২০০৫ সালে এটি প্রকাশিত হয়। মোশতাক আহমেদ পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথমে ফার্মেসি বিভাগে, পরে আইবিএতে। পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডের লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অপরাধবিজ্ঞান থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। পড়াশোনার খাতিরেই হোক বা কর্মজীবনের তাগিদেই হোক, ব্যক্তিগত জীবনে তিনি অনেক ভ্রমণ করেছেন। সেসব ভ্রমণকাহিনীর আশ্রয়ে তাই ক্রমেই সমৃদ্ধ হয়েছে তাঁর লেখা ভ্রমণকাহিনীগুলোও। তাঁর সৃজনশীল কর্মকাণ্ড শুধু লেখালেখিতেই গণ্ডিবদ্ধ নয়। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাজারবাগের পুলিশ ও পাকিস্তানী হানাদারবাহিনীর মধ্যে একটি যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। সে ঘটনার ওপর ভিত্তি করে মোশতাক আহমেদ ‘মুক্তিযুদ্ধের প্রথম প্রতিরোধ’ নামে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। এটি ২০১৩ সালের মার্চ মাসে মুক্তি পায়। তাঁর পুরস্কারের ঝুলিতে এ পর্যন্ত রয়েছে ২০১৩ সালের কালি ও কলম সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৪ সালের ছোটদের মেলা সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৪ সালের কৃষ্ণকলি সাহিত্য পুরস্কার, ২০১৫ সালের সিটি আনন্দ আলো পুরস্কার এবং সর্বশেষ সংযুক্তি হিসেবে সায়েন্স ফিকশন বিষয়ে বিশেষ অবদান রাখার জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৭।