বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। বাআদাল হামদ ওয়াস সালাত। হযরত ফিদায়ে মিল্লাত (রহ.)-এর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের আলোকে এই স্মৃতিচারণ। সুতরাং, এতে বহু বিষয় আসেনি আবার এমন বিষয়ও আছে যা অন্য কোথাও বিধৃত হয়নি। এটা একটা খন্ডিত চিত্রালোক। পাঠক এই আলোকেই বইটি দেখবেন আশা করি। আল্লাহ আমাদের সকলকে কবুল করুন, ইখলাস দিন। বইটি লেখায় সহযোগিতা করার জন্য বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এই করোনার ভেতর আমার পৌত্রী “ইয়াম্বুউল জান্নাহ ফরীদী সুনেহরী'র প্রতি। মাত্র সাত বছর বয়স তার! তার কোনো ভাইবোন নেই, সাথী নেই, স্কুল বন্ধ! করোনার এই সময়ে আমাকে এসে বলে- এটার সাক্ষাৎকার নিই, ওটার সাক্ষাৎকার নিই! তাই আমি মনে করলাম একটা কাজের সাক্ষাৎকার হয়ে যাক। এটা মৌলিকভাব তার ওই আগ্রহের জন্যই হয়েছে। তার তাগাদা ও উৎসাহে। আল্লাহতায়ালা তাকে দুনিয়া ও আখেরাতে নেক বদলা দান করুন। হযরত ফাতেমা রাযিআল্লাহু আনহা, হযরত আয়েশা রাযিআল্লাহু আনহার চরিত্রে ভূষিত করুন এবং কুরআনের হাফেজ, আলেম বানান এবং তার মাধ্যমে ইসলামের উপকার করুন। আল্লাহতায়ালা তাকে মউত পর্যন্ত সুস্বাস্থ্যের সাথে রাখুন, সমৃদ্ধির ওপর রাখুন, স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে রাখুন, সুখী রাখুন, আমীন।
ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ (জন্ম: ৭ মার্চ ১৯৫০) বাংলাদেশের একজন আলোচিত ইসলামি ব্যক্তিত্ব। তিনি শোলাকিয়া জাতীয় ঈদগাহের ইমাম, জাতীয় দ্বীনি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ জমিয়তুল উলামার সভাপতি, ইকরা বাংলাদেশের পরিচালক। এক লক্ষাধিক আলেম কর্তৃক স্বাক্ষরিত জঙ্গিবাদবিরোধী ফতোয়ার জন্য তার পরিচিতি রয়েছে। আলেম সমাজে বাংলা ভাষার বিস্তারে লাজনাতুত তলাবা নামক একটি সংগঠনের কর্ণধার, কওমি মাদ্রাসার সরকারি স্বীকৃতি আদায়, মসজিদে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের সরকারি ভাতা বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তার উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে। তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের পরিচালক ছিলেন। মাসিক পাথেয় পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক সহ তার স্বরচিত ও অনুবাদকৃত গ্রন্থের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। এছাড়াও তিনি এশিয়া ফাউন্ডেশনের বিশেষ পরামর্শক, ফাউন্ডেশন ফর গ্লোবাল পলিসি স্টাডিজ, ইসলামিক রিসার্চ কাউন্সিল অব বাংলাদেশ, ইকরা মাল্টিমিডিয়া ওয়ার্ল্ডওয়াইড লিমিটেডের সভাপতি এবং ইসলামী গবেষণা পরিষদ এবং বেসরকারি দাতব্য সংস্থা ইসলাহুল মুসলিমিন পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা।