বাংলাদেশ ভাষার দেশ, গানের দেশ। স্বাধীন এই দেশে যেমন আছে ভাষার বৈচিত্র্য তেমনই আছে বর্ণমালার ইতিহাস। এক ভাষায় দুই লিপির প্রচলন, কেবল বাংলার মানুষের মনীষা কিংবা ভাষাপ্রেমের পরিচয় বহন করে না বরং এই জাতির সৃষ্টিশীলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এই উজ্জীবনীতে বাংলার জমিন রাঙা হয়ে ওঠে ভাষাযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে। বর্ণমালার চেতনাবৈভবের পথ ধরেই ভাষাভূমিতে পরিণত হয়েছে আমাদের জন্মভ‚মি বাংলাদেশ। সিলেটি নাগরীলিপিতে রচিত সাহিত্যভাÐার বিশাল। অথচ নাগরীসাহিত্যজনদের অপরিচিতি কম বেদনার নয়। এ-গ্রন্থটি নাগরীলিপি সাহিত্যের স্রষ্টাদের জীবন ও তাঁদের সৃজনকর্মের পরিচয় তুলে ধরার একটি প্রয়াসমাত্র। সিলেটি নাগরীলিপি বঙ্গের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৫০০ বছর আগে চালু হয়ে অর্ধশতাব্দী আগে বিলোপের কবলে পড়ে। বাংলাসাহিত্যের মূলধারার সাথে নাগরীলিপির ছিল দূরতম সম্পর্ক। এই গ্রন্থ সে দূরত্বের ব্যবধান কমাবে, এটা বলাই যায়। বাংলাদেশ ভাষার দেশ, গানের দেশ। স্বাধীন এই দেশে যেমন আছে ভাষার বৈচিত্র্য তেমনই আছে বর্ণমালার ইতিহাস। এক ভাষায় দুই লিপির প্রচলন, কেবল বাংলার মানুষের মনীষা কিংবা ভাষাপ্রেমের পরিচয় বহন করে না বরং এই জাতির সৃষ্টিশীলতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। এই উজ্জীবনীতে বাংলার জমিন রাঙা হয়ে ওঠে ভাষাযোদ্ধাদের আত্মত্যাগে। বর্ণমালার চেতনাবৈভবের পথ ধরেই ভাষাভূমিতে পরিণত হয়েছে আমাদের জন্মভ‚মি বাংলাদেশ। সিলেটি নাগরীলিপিতে রচিত সাহিত্যভাÐার বিশাল। অথচ নাগরীসাহিত্যজনদের অপরিচিতি কম বেদনার নয়। এ-গ্রন্থটি নাগরীলিপি সাহিত্যের স্রষ্টাদের জীবন ও তাঁদের সৃজনকর্মের পরিচয় তুলে ধরার একটি প্রয়াসমাত্র। সিলেটি নাগরীলিপি বঙ্গের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৫০০ বছর আগে চালু হয়ে অর্ধশতাব্দী আগে বিলোপের কবলে পড়ে। বাংলাসাহিত্যের মূলধারার সাথে নাগরীলিপির ছিল দূরতম সম্পর্ক। এই গ্রন্থ সে দূরত্বের ব্যবধান কমাবে, এটা বলাই যায়।
মোস্তফা সেলিম লুপ্ত বর্ণমালা সিলেটি নাগরীলিপি ও সাহিত্য গবেষণা, প্রকাশনা এবং তার নবজাগরণে অনন্য ভূমিকা রেখে দেশে-বিদেশে নন্দিত। তাঁর কাজের মূল্যায়ন করে ‘মোস্তফা সেলিমের নাগরিপ্রেম’ শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলো শনিবারের বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে এবং The Daily Star প্রকাশ করে "Keeping an almost extinct script alive, a publisher's story" প্রতিবেদন। দেশে-বিদেশে এ বিষয়ে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁর প্রথম গ্রন্থ মুক্তিযুদ্ধে বড়লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে। তিনি বাংলাপিডিয়া, লিবারেশনওয়ার পিডিয়াসহ বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পে কাজ করেছেন। নাগরীলিপির ২৫টি পুথি সম্পাদনা তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ। সম্পাদনা করেন মাসিক ভ্রমণচিত্র। মোস্তফা সেলিমের জন্ম মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায়। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর।