তেরো বছর বয়সে যখন আমাকে অপহরণ করে অ্যান্টার্কটিকার ভূগর্ভে নিয়ে আসা হয়, তখন পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবের সাথে সাথে হারিয়েছিলাম পরিচিত পৃথিবীটাও। নষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল আমার নিষ্পাপ সত্তা। স্মৃতি মুছে দিয়ে ও মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করে ভূগর্ভেই আমাকে প্রশিক্ষণ দেয় নিনিস। তৈরি করে অর্ধমানব ও অর্ধদানব নেফিলিম সম্প্রদায়ের অধিপতি অর্থাৎ নেফিলের কাছে উৎসর্গ করার জন্য। তাদের বিশ্বাস ছিল, অ্যান্টার্কটিকায় জন্ম নেওয়া প্রথম ও একমাত্র মানুষ হিসাবে নেফিলের আত্মা ধারণ করার শক্তি আমার আছে। পরিকল্পনা ছিল, অনন্তকাল ধরে নরকের অন্ধকারে বন্দি থাকা সেই প্রাচীন অপদেবতার উত্থান ঘটিয়ে মানবজাতিকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার। আমার শক্তি সম্পর্কে কোনো ধারণাই ছিল না তাদের। সমস্ত পরিকল্পনার ভরাডুবি ঘটিয়ে আমি পালিয়ে আসি। ততদিনে অবশ্য আমার নিজস্ব সত্তাকে দখল করে নিয়েছে হিংস্র এক দানব, আল। সেই সাথে একটু একটু করে ফিরে আসছে আমার হারানো স্মৃতি, প্রকট হচ্ছে নিজের অসহায়ত্ব। আলের পাশাপাশি স্মৃতির সাথে লড়াই করেই নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছি এতদিন, কিন্তু এবার আমার ঘ্রাণ পেয়ে গেছে শিকারীরা। আমি সলোমন আল ভিনসেন্ট, শেষ শিকারি। দীর্ঘদিন পালিয়ে বাঁচলেও অবশেষে আমাকে ধাওয়া করতে শুরু করেছে ওরা। যদি ধরা পড়ি, তাহলে এখানেই শেষ হবে আমার গল্প।