শাইখ আল-জাহরানি জর্ডান সীমান্তের কাছে সিরিয়ানদের একটি রিফিউজি ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে একজন বোন তাঁকে দেখে ওঠে দাঁড়ান এবং বলেন, ‘শাইখ, আমরা এখানে পালিয়ে এসেছি ঠিকই তবে তা আমাদের জীবনের ভয়ে নয়। আমরা পালিয়ে এসেছি কারণ আমাদের ও আমাদের কন্যাদের সেখানে ধর্ষণ করা হচ্ছে। আমি পেশায় একজন নার্স এবং আমার কাছে একের পর এক সিরিয়ার অনেক সম্ভ্রান্ত বোন এসেছেন, যারা ওষুধ বা অন্যকোনো মাধ্যমের সহায়তায় সহজে আত্মহত্যা করতে চাইতেন।’ কেন তারা এক আঘাতে নিজেদের জীবন শেষ করে দিতে চেয়েছে? কারণ ধর্ষণের পর তাদের আর বেঁচে থাকার কোনো ইচ্ছা নেই। ওয়াল্লাহি হাঁ, সে এটিই বলেছিল। একজন সিরিয়ানের কথা মনোযোগ সহকারে শুনবেন ও বিশ্বাস করবেন৷ হাইসাম আল-মালিহ আল-জাজিরাকে বলেছিল, একবার পনের বছর বয়সী এক বোন ও তার আত্মীয়াকে আটক করা হয়। তার আত্মীয়া ছিলেন ষাট বছরের বৃদ্ধা, তাই তারা তাকে ছেড়ে দেয়। সম্ভবত তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য তার তেমন কোনো উপযোগিতা ছিল না, একারণে তারা তাকে যেতে দেয়। তিনি বলেছেন, ‘ওয়াল্লাহি আমি সেই পনের বছর বয়স্কার সাথে জেলে ছিলাম, যেখানে ষাটজন রাফিদা সন্ত্রাসী তাকে ধর্ষণ করে।’ একবার ওরা একব্যক্তির স্ত্রীর জন্য তার কাছে মুক্তিপণ দাবি করেছিল, কিন্তু তার স্ত্রী বলেছিলেন, ‘না, আমাকে কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য কোনো মুক্তিপণ দেবেন না। আমাকে ওদের বিশজনেরও বেশি লোক ধর্ষণ করেছে, আমি এখন মৃত্যু চাই।’ আসাদের কারাগারে বন্দি বোনদের কাছ থেকে যে চিঠি এসেছিল সেখানে তারা লিখেছিলেন― ‘আমাদের সাহায্য করুন, আমাদের বাঁচান, আমাদের ধর্ষণ করা হচ্ছে! যদি বাঁচাতে না পারেন তাহলে অন্তত আমাদের জন্য পিল সরবরাহ করুন, যাতে আসাদের সন্ত্রাসী রাফিদাদের দ্বারা আমাদের গর্ভবতী হতে না হয়।’ হাঁ, ওরা ইয়াহুদি নয়, ক্রুসেডার নয়। ওরা তারাই, যাদের কথা গত কয়েক দশক যাবৎ আমরা আপনাদের বলে আসছি, ইবনু তাইমিয়াহ ৭০০ বছরেরও আগে যাদের কথা বলেছিলেন এবং বহু আলিম বহুবছর যাবৎ তাদের কথা বলছেন। সিরিয়ানরা এখন এর প্রকৃত বাস্তবতা উন্মোচন করেছে। কতজন তাদের কান্না শুনছে, সাহায্য চেয়ে ফরিয়াদ জানানো বোনদের চিৎকার শুনছে? অসহায় নারীরা, তারা কী ভাবছে? কেন চিৎকার করছে? (বোন,) আপনারা এক মৃত উম্মাহর সাথে কথা বলছেন, আপনারা কি ভেবেছেন মুতাসিম এখনও জীবিত আছে? তারা ভাবছে, উম্মাহ এখনো জীবিত আছে। তারা তাদের সাথে কথা বলছে। কিন্তু সত্য হলো, এই উম্মাহ মরে গেছে, তারা এক মৃত উম্মাহর সাথে কথা বলছে! তারা এমন এক উম্মাহর সাথে কথা বলছে যারা তাদের গাইরতকে বিসর্জন দিয়েছে এবং জীবন থেকে একে নির্মূল করে দিয়েছে। তারা বহু আগেই মরে গেছে।