বিশ্ব জাহানের প্রতিপালক মহান আল্লাহ জাল্লা শানুহু এই পৃথিবী এবং পৃথিবীর মানুষ সৃষ্টি করেছেন কেবল তাঁরই ইবাদত, বন্দেগী ও দাসত্ব করার জন্য। সাথে সাথে কত সংখ্যক লােক তাঁর বন্দেগী করবে এবং কতকাল ধরে এ পৃথিবীতে তাঁর বন্দেগী চলবে তা-ও নির্ধারণ করে দিয়েছেন। যখন সেই সংখ্যা পূর্ণ হবে এবং সেই নির্দিষ্টকাল শেষ হবে, তখন তিনিই এই পৃথিবী আবার ধ্বংস করে দিবেন। পৃথিবী ক্রমেই সেই মুহূর্তের দিকে এগিয়ে চলছে। পৃথিবী ধ্বংসের এই ঘটনার নাম কিয়ামত। কিয়ামত কবে সংঘটিত হবে তা কারওই জানা নেই। তবে কিয়ামতের পূর্বের অনেক ঘটনা, আলামত ও নিদর্শন কুরআন ও হাদীছে বর্ণিত হয়েছে। কিয়ামতের বড় আলামত হচ্ছে দু’জাহানের সরদার, বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ পৃথিবীতে আগমন। পৃথিবীর মানুষকে আল্লাহর বন্দেগীর পথ দেখাতে হজরত আদম (আ.) থেকে শুরু করে অসংখ্য নবী-রাসূল এসেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে আগমন করেছেন আমাদের প্রিয় নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কিয়ামতের আগে আর কোনাে নবী নেই। তিনি সর্বশেষ নবী এবং আমাদের পর আর কোনাে উম্মত নেই। আমরাই সর্বশেষ উম্মত। তাই নবীজি দু’আঙ্গুলের মাঝখানের ফাঁকা স্থানটি দেখিয়ে বলতেন, আমার এবং কিয়ামতের মাঝের ব্যবধান এইটুকু।