হাভার্ড অধ্যাপক রবার্ট ল্যাংডন এক কাজে প্যারিস এসেছেন। এক দিন গভীর রাতে জরুরি ফোন কল পেলেন : লুভরের প্রবীণ কিউরেটর জ্যাক সনিয়ে জাদুঘরের ভেতরেই নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। পুলিশ লাশের পাশে বেশ কয়েকটি হতবুদ্ধিকর কোড পেল। ল্যাংডন ও প্রতিভাধর ফরাসি ক্রিপ্টোলজিস্ট সোফি নেভু আশ্চর্য গোলকধাঁধার মধ্য দিয়ে ছুটতে শুরু করলেন। তারা বিস্ময়ের ঘোরে তাদের সামনে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির অবাক করা জগতের সন্ধান পেলেন। মনে হলো, তারা যে রহস্যের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, তার জবাব নিহিত রয়েছে ইতিহাসের অনেক গভীরে। ল্যাংডনের মনে হলো, পরলোকগত কিউরেটর কয়েক শ’ বছরের প্রাচীন গুপ্ত সংগঠন প্রায়োরি অব সাইওনের সাথে জড়িত ছিলেন, তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন প্রায়োরির সবচেয়ে পবিত্র সম্পদ তথা শত শত বছর ধরে লুকানো গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্মারকের অবস্থান প্রকাশ হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু মনে হলো, প্রায়োরির সিক্রেট কব্জা করার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে ষড়যন্ত্র করতে থাকা গুপ্ত খ্রিস্টীয় উপদল ওপাস দেই এখন হাত বাড়িয়েছে। ল্যাংডন ও নেভু যদি এই জটিল কোডের অর্থ উদ্ধার করে দ্রুততার সাথে ধাঁধার সমাধান করতে না পারেন, তবে প্রায়োরির সিক্রেট ও বিস্ময়কর ঐতিহাসিক সত্য চির দিনের জন্য হারিয়ে যাবে... হাভার্ড অধ্যাপক রবার্ট ল্যাংডন এক কাজে প্যারিস এসেছেন। এক দিন গভীর রাতে জরুরি ফোন কল পেলেন : লুভরের প্রবীণ কিউরেটর জ্যাক সনিয়ে জাদুঘরের ভেতরেই নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। পুলিশ লাশের পাশে বেশ কয়েকটি হতবুদ্ধিকর কোড পেল। ল্যাংডন ও প্রতিভাধর ফরাসি ক্রিপ্টোলজিস্ট সোফি নেভু আশ্চর্য গোলকধাঁধার মধ্য দিয়ে ছুটতে শুরু করলেন। তারা বিস্ময়ের ঘোরে তাদের সামনে লিওনার্দো দা ভিঞ্চির অবাক করা জগতের সন্ধান পেলেন। মনে হলো, তারা যে রহস্যের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, তার জবাব নিহিত রয়েছে ইতিহাসের অনেক গভীরে। ল্যাংডনের মনে হলো, পরলোকগত কিউরেটর কয়েক শ’ বছরের প্রাচীন গুপ্ত সংগঠন প্রায়োরি অব সাইওনের সাথে জড়িত ছিলেন, তিনি নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন প্রায়োরির সবচেয়ে পবিত্র সম্পদ তথা শত শত বছর ধরে লুকানো গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্মারকের অবস্থান প্রকাশ হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য। কিন্তু মনে হলো, প্রায়োরির সিক্রেট কব্জা করার জন্য দীর্ঘ দিন ধরে ষড়যন্ত্র করতে থাকা গুপ্ত খ্রিস্টীয় উপদল ওপাস দেই এখন হাত বাড়িয়েছে। ল্যাংডন ও নেভু যদি এই জটিল কোডের অর্থ উদ্ধার করে দ্রুততার সাথে ধাঁধার সমাধান করতে না পারেন, তবে প্রায়োরির সিক্রেট ও বিস্ময়কর ঐতিহাসিক সত্য চির দিনের জন্য হারিয়ে যাবে...
মার্কিন থ্রিলার লেখক ড্যানিয়েল গেরহার্ড ব্রাউনের জন্ম ১৯৬৪ সালের ২২ জুন। ড্যান ব্রাউন নামেই বিখ্যাত এই লেখকের জন্মস্থান যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ারের এক্সিটারে। তাঁর বাবা বিখ্যাত গণিত শিক্ষক রিচার্ড জি. ব্রাউন ফিলিপস এক্সিটার একাডেমিতে পড়াতেন। এই সূত্রে ড্যান এই একাডেমি থেকেই গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এরপর আমহার্স্ট কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেন তিনি। ছোটবেলায় সংগীতের প্রতি ঝোঁক থাকায় ১৯৮৬ সালে পেশাদার সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তবে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনে ব্যর্থ হন। ১৯৯৪ সালে সিডনি শেলডন এর লেখনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে ড্যান লেখালেখির জগতে প্রবেশ করেন। উপন্যাস হিসেবে ড্যান ব্রাউন এর বই 'ডিজিটাল ফোরট্রেস' প্রকাশিত হয় ১৯৯৬ সালে, সেটাই ছিল তাঁর প্রথম লেখা। পাঠক বইটি সাদরে গ্রহণ করায় আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। ২০০৩ সালে প্রকাশিত 'দ্য ভিঞ্চি কোড' বিশ্বজুড়ে তাঁকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে যায়। ক্রিপ্টোগ্রাফি বা সাংকেতিক চিহ্নের রহস্যময়তা, কী, কোড এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্বগুলোর সন্নিবেশ তাঁর রচনাগুলোকে করেছে আরো আকর্ষণীয়। রবার্ট ল্যাংডনের চরিত্রটিকে কেন্দ্রে রেখে তিনি দুঃসাহসিক সব অভিযানের রূপায়ণ করেছেন তাঁর লেখায়। ড্যান ব্রাউন এর বই সমূহ বিশ্বজোড়া থ্রিলার পাঠকদের জন্য যেন সোনার খনি। তাঁর রচনায় বুঁদ হয়ে থাকা পাঠকেরা সাংকেতিক রহস্যময়তার জন্য ড্যান এর রচনার সমাদর করেন। পাঠকনন্দিত ড্যান ব্রাউন এর বই সমগ্র হলো 'ডিসেপশন পয়েন্ট', 'এঞ্জেলস এন্ড ডেমনস', 'দ্য লস্ট সিম্বল', ' ইনফার্নো' ও 'অরিজিন'। তাঁর লেখা বই বিশ্বের ৫২টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং বিক্রি হয়েছে ২০০ মিলিয়নেরও বেশি কপি। এছাড়াও 'এঞ্জেলস এন্ড ডেমন্স', 'দ্য ভিঞ্চি কোড', এবং 'ইনফার্নো' পেয়েছে চলচ্চিত্র রূপ। যদিও তাঁর রচনা নিয়ে ধর্মতত্ত্ববিদেরা বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন, তবে ড্যান তাঁর রচনাকে ধর্মের রহস্যময়তার নতুন এক দিক হিসেবেই বর্ণনা করেছেন।