রাসূলুল্লাহ (দ্র) বলেন: সাবধান! খুব শীঘ্রই এমন ব্যক্তির আগমন ঘটবে যে, সে তার সুসজ্জিত গদিতে হেলান দিয়ে বসে থাকবে, তখন তার নিকট আমার কোনো হাদীস পৌঁছলে সে বলবে, আমাদের ও তোমাদের সামনে তো আল্লাহ তা'আলার কিতাবই আছে। আমরা তাতে যা হালাল পাব সেগুলো হালাল বলে মেনে নিব এবং যেগুলো হারাম পাব সেগুলো হারাম বলে মনে নিব। সাবধান! রাসূলুল্লাহ () যা হারাম ঘোষণা করেছেন তা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক হারামকৃত বস্তুর মতোই হারাম। রাসূল ()-এর এই ভবিষ্যৎ সতর্কবাণীর বাস্তব সাক্ষী আমরা নিজেরা। আমরা এমন যুগে অবস্থান করছি, যখন একদল মুসলিম দাবিদার হাদীস অস্বীকার করছে। আধুনিক যুগে ইসলাম বিদ্বেষী ও অমুসলিমদের চক্রান্তে পড়ে নানাবিধ কূটকৌশল অবলম্বন করে হাদীসশাস্ত্রের উপর সন্দেহ সৃষ্টি এবং শেষমেশ হাদীসকে অস্বীকার করার আধুনিক ফাঁদ খুব বেশি দিনের নয়। সেসব কূটকৌশলের একটি হচ্ছে, কুরআন ও হাদীসকে পরস্পর বিরোধী হিসেবে উপস্থাপন করে হাদীসকে অস্বীকার করা। অথচ হাদীস হচ্ছে কুরআনের ব্যাখ্যা। আহলুল ইলমের কাছে কুরআন ও হাদীসের মাঝে প্রকৃতপক্ষে কোনো বৈপরীত্য নেই। বাহ্যিক বৈপরীত্য কেবল ইলমের সাথে সম্পর্কহীন ও প্রবৃত্তির অনুসারীদের সম্বল। প্রচলিত বিদআত ও খুরাফাতের বিরুদ্ধে একজন কলম মুজাহিদ হলেন শ্রদ্ধেয় কামাল আহমাদ ভাই। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ তাঁর লেখার মাধ্যমে বিভিন্ন ভ্রান্ত ফিরকার খণ্ডন করে আসছেন। তাঁরই এক অসাধারণ ও অন্যতম শ্রেষ্ঠ কর্ম হলো “হাদীস কেন মানতে হবে?” বইটি। এ বইতে তিনি কুরআন কারীমের মাধ্যমেই প্রমাণ করেছেন হাদীস কেন মানব। বইটি তখন প্রকাশ হয়েছিল যখন এই ধরনের বই বাজারে ছিল না বললেই চলে। দীর্ঘদিন বইটি বাজারে ছিল না। হাদীস অস্বীকারের ফিতনা যখন নতুন মাত্রা লাভ করছে, তখন এই কুফরি ফিতনা থেকে বাঁচতে বইটি সকলের জন্য পাঠ জরুরি।