সমাজতান্ত্রিকদেরকে গড়পড়তায় নাস্তিক আখ্যা দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু এ ধারণা ঠিক নয়। বস্তুত তাদের অধিকাংশই ধর্মীয় গোঁড়ামি ও অন্ধত্ব থেকে নিজেদের মননকে মুক্ত করতে সচেষ্ট। বর্তমানে পৃথিবীতে বিরাজিত সবগুলো ধর্মই যখন সঠিক রূপ হারিয়ে বিকৃত হয়ে ধর্মব্যবসায়ীদের পণ্যে পরিণত হয়েছে, যেগুলোকে অপব্যবহার করে বিভিন্ন সুবিধাবাদী গোষ্ঠী মানুষের সমাজকে পশুর সমাজে পরিণত করছে, সেই বিকৃত ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়াই স্বাভাবিক। সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীরা ব্যক্তিজীবনে যে অতুলনীয় ত্যাগ স্বীকার করেছেন এবং যে দুঃসাহসী সংগ্রামে জীবনপাত করেছেন, এটা হওয়া খুবই স্বাভাবিক ছিল যে, তারা সর্বযুগে পূজনীয় থাকবেন। কিন্তু বাস্তবে সেটা হয় নি। কারণ সমাজতান্ত্রিক আদর্শ মানুষকে শান্তি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এককালের সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র আজ ঘোর পুঁজিবাদী দেশে পরিণত হয়েছে, আর নেতারা মার্কস লেনিনের আদর্শ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে পরিণত হয়েছেন গণতান্ত্রিক পুঁজিপতি বুর্জোয়ায়। সর্বত্যাগী সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে আমরা হেযবুত তওহীদ বলতে চাই, আমরাও মানবতার কল্যাণে নিজেদের সকল সম্পদ, জীবন, পরিবার, পুত্র-পরিজন ত্যাগ করেছি। তবে আমাদের জীবন ধন্য যে, আমরা সঠিক পথ পেয়েছি যা পরীক্ষিত সত্য। তাই ঘুঁণে ধরা সমাজটিকে যারা পুনর্নির্মাণ করতে চান, সর্বপ্রকার অবিচার, অত্যাচার, ধর্মব্যবসা, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও শোষণের প্রতিবাদে যার হাত মুষ্টিবদ্ধ হয়ে ওঠে, মহাসত্যের আহ্বানে যাদের হৃদয়তন্ত্রীতে ঝংকার খেলে যায়, সেই মানবধর্মের অনুসারীদের প্রতি আমাদের আহ্বান- আসুন, পথ পাওয়া গেছে।