"প্রথম আলোয় করোনাকালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন ২০২১" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ করোনা মহামারী এখনও বিদায় নেয়নি এই বিশ্ব থেকে। চলছে করোনার আক্রমণ বিশ্বজুড়ে। মানুষও লড়াই করে যাচ্ছে করোনার বিরুদ্ধে। করোনা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ইতিমধ্যে বিশ্বের বহুদেশ আবিষ্কার করেছে করোনার টিকা। সেই টিকা দেওয়া চলছে বিশ্বজুড়ে। আর বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষের মুখে আজ এক আওয়াজ উঠেছে করোনার আক্রমণ থেকে মুক্ত করো বিশ্বকে। ফিরিয়ে দাও শাস্তি। বাঁচার অধিকার। গড়ে উঠুক শাস্তির এক পৃথিবী। এই করোনার আবহের মধ্যে এবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার ২৯৪টি আসনে নির্বাচন হয়ে গেল। নির্বাচন হলো ৮ দফায় শুরু ২৭ মার্চ। শেষ ২৯ এপ্রিল। ফলাফল ঘোষণা হয় ২ মে। করোনার আবহের মধ্যে এই নির্বাচন হলেও প্রচারে এতটুকু খামতি ছিলনা রাজনৈতিক দলের। কেউ কেউ করোনা বিধি মেনে প্রচার করেছে। আবার করেনিও কেউ কেউ। তবে প্রচারে এগিয়েছিল বিজেপি এবং পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসই। আর এই প্রচারে অংশ নিতে এবার ঝাপিয়ে পড়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সহ বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কেউ বাদ যাননি। তাঁরা এই রাজ্যে এসে বিভিন্ন এলাকায় সভাসমাবেশ করেছে। এসেছিলেন বলিউড তারকা মিঠুন চক্রবর্তী সহ বহু তারকারা। বসে ছিলনা তৃণমূল কংগ্রেসও। মমতা সহ তৃণমূলের নেতারাও রাজ্যের নানাপ্রান্তে সভা সমাবেশ করেছে। মমতাতো ভাঙ্গা পা নিয়ে প্রচারে সামিল হয়েছেন। মানুষের কাছে ভোট চেয়েছেন। তুলনা করতে গেলে বলতে হয়, প্রচারের সবচেয়ে বেশি ধার ছিল বিজেপির। তারপর তৃণমূলের। কম ধার থাকলেও প্রচারের মাঠ ছাড়েনি কংগ্রেস এবং বামদল। এবারের এই নির্বাচন নিয়ে প্রতিদিনকার বিভিন্ন দলের নেতাদের কথামালা নিয়ে নিয়মিত প্রথম আলোয় রিপোর্ট করেছেন প্রথম আলোর কলকাতা প্রতিনিধি অমর সাহা। তাঁর কলমে ফুটে উঠেছে বিজেপি আর তৃণমূলের নেতাদের কন্ঠের পাঁচমিশালী নানা কথা নানা মন্তব্য। চলেছে তৃণমূল আর বিজেপির জয়ের আশা নিয়ে দু'দলের চালেঞ্জ আর পাল্টা চ্যালেঞ্জের নানা খন্ডচিত্র নির্বাচনকালিন প্রচারের সেইসব কথামালা নিয়ে এবার অমর সাহা'র প্রথম আলোয় প্রকাশিত রিপোর্ট নিয়ে বের হল 'প্রথম আলোয় করোনাকালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন ২০২১'।
Title
প্রথম আলোয় করোনাকালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন ২০২১