ম্রো ভাষার রূপকথার গল্প। ম্রো এবং বাংলা লিপিতে সাজানো বইটিতে ম্রো ভাষায় প্রচলিত রূপকথার গল্পগুলো সংকলিত করেছেন ম্রো ভাষার জনপ্রিয় লেখক ইয়াংঙান ম্রো। প্রথম সংকলনটি পাঠকপ্রিয়তা পাবার পর দ... See more
TK. 320 TK. 256 You Save TK. 64 (20%)
* স্টক আউট হওয়ার আগেই অর্ডার করুন
কমিয়ে দেখুন
আর মাত্র ৩দিন বাকি, বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
আর মাত্র ৩দিন বাকি, বইয়ে ৭০% ও পণ্যে ৭৮% পর্যন্ত ছাড়!
ম্রো ভাষার রূপকথার গল্প। ম্রো এবং বাংলা লিপিতে সাজানো বইটিতে ম্রো ভাষায় প্রচলিত রূপকথার গল্পগুলো সংকলিত করেছেন ম্রো ভাষার জনপ্রিয় লেখক ইয়াংঙান ম্রো। প্রথম সংকলনটি পাঠকপ্রিয়তা পাবার পর দ্বিতীয় সংকলনটি প্রকাশিত হয়েছে। আশা করি এই সংকলনের গল্পগুলোও আপনাদের কাছে ইতিহাস হয়ে থাকবে।
বিদ্যানন্দ প্রতি বছর 'সফল' বইমেলাগুলোতে একেকটা বইয়ের 'হাইপ ' সৃষ্টি করে। ২০১৮/১৯ বইমেলায় তেমনি হাইপ উঠেছিলো 'ম্রো রূপকথা' । বাংলার নৃতাত্ত্বিক ও লোকসাহিত্যের অন্যতম সংযোজন এই বইটি ছিলো বাংলার পাশাপাশি ম্রো জনগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালায় প্রকাশিত প্রথম বই,সেই হিসাবে 'ম্রো রূপকথা২ ' দ্বিতীয় বই ৷ তেমনি এই বইমেলায় 'হাইপ' ছিলো 'নিরক্ষরের গল্পগুচ্ছ'। এর পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে 'ম্রো রূপকথা ২ '। গল্পগুলো বেশ মজার। বাংলাদেশের লোকসাহিত্যের মধ্যে যেগুলো সচরাচর আমরা জেনে থাকি তার ই ম্রো ভার্সন কিছুটা । ধর্মীয় বিশ্বাস, সমাজ ব্যবস্থা, খাদ্যাভাস ইত্যাদি গল্পের চরিত্রগুলোতে বেশ প্রভাবিত।
বইটি সম্পাদনা করেছেন 'সিদ্দিক মাহমুদুর রহমান' । কি যে সম্পাদনা করেছে তা জানি না(উনার ভূমিকার ইনফরমেশনটা নিচে মেরে দিলাম)৷ গোটা বইয়ে সম্পাদনার অভাব ছিলো বেশ দৃষ্টিকটু। পাশাপাশি বানান ভুলের পরিমাণ নিতান্ত কম ছিলো না৷
বাংলাদেশের সাহিত্যে 'ম্রো রূপকথা ১-২' একটি উজ্জ্বল পালক।
"ম্রো বাংলাদেশের একটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী । পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকায় এদের অধিক সংখ্যক বসতি রয়েছে । জেলার তোইন, মংগু তৈনফা, লুলোইং, উত্তরহানগড়, দক্ষিণ হানগড়, তঙ্কাবতী, হরিণঝুড়ি, টেকের পানছড়ি, রেনিখ্যং, পানতলা, থানখ্যং, সোয়ালক, তিনডো, সিংপা, আলীখং এবং ভারিয়াতালি মৌজায় এদের বসবাস। ২০০৬ সালে ম্রো সোশ্যাল কাউন্সিলের জরিপ অনুযায়ী ম্রোদের বর্তমান জনসংখ্যা ৫৯,২১৬ জন ।
ম্রো-রা ‘মুরং' নামেও পরিচিত। ম্রো'দের নিজস্ব ভাষা থাকলেও পূর্বে এর কোন বর্ণমালা ছিল না । ইদানীং ম্রোদের নিজস্ব বর্ণমালা তৈরি হয়েছে । ম্রো'রা তিব্বতী-বর্মী গোষ্ঠির একটি বিশেষ ভাষায় কথা বলে । বতর্মানে এদের নিজস্ব ভাষায় ও বর্ণমালায় তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবই প্রণিত হয়েছে ।
ম্রোরা নিজেদেরকে 'মারুচা' বলে অভিহিত করে থাকেন। ম্রো ভাষায় ‘ম্রো' শব্দের অর্থ 'মানুষ' । ম্রো সমাজে কয়েকটি পরিবার মিলে এক একটি গোত্র গঠিত হয়। বর্তমান সময় পর্যন্ত ম্রোদের অনেকগুলি গোত্রের নাম জানা যায়: ঙারুয়া, নাইচাহ, তাম-তু, ইয়মরে, ঙরিংচ্য, তাং, কানবক, প্রেনজু, দেং এবং খউ। একই দল বা গোত্রভুক্ত ছেলেমেয়ের বিয়ে নিষিদ্ধ । ম্রোদের বংশ পরিচয় পিতৃতান্ত্রিক ।"