শৈশব ও কৈশোর প্রায় সব বাবামায়ের কাছে তার সন্তান বড়ো আদরের, তাদের মনের কামনা সন্তান ভালো হোক জীবনে সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠুক। মধ্যবিত্ত-উচ্চবিত্ত, ধনী-দরিদ্র সবারই চেষ্টা থাকে যেন ছেলেমেয়ের শারীরিক গঠন সুন্দর ও সুস্থ স্বাভাবিক হয়। তারা নিজের নিজের মতন বেড়ে ওঠে। খুব কম বাবা-মা আছেন যাঁরা ছেলেমেয়েদের ব্যাপারে খুব উদাসীন ও নিস্পৃহ, তাদের লেখাপড়া, আগ্রহ, ভালোমন্দ নিয়ে ভাবনাচিন্তার অবকাশ নেই। বাবা-মা কেমন হবেন, তারা ছেলেমেয়েদের সম্বন্ধে কী ভাবেন, তাদের কেমন করে বড়ো করবেন ইত্যাদি সম্বন্ধে অনেক প্রকারভেদ আছে। সব ছেলেমেয়ে যেমন এক রকমের হয় না, তেমনি সব মা-বাবাও এক ধরনের নয়। ছেলেমেয়েদের প্রতি তাদের ব্যবহার, আচার-আচরণ, চাহিদা ও প্রত্যাশার হেরফের থাকে। এছাড়াও দেশ, কাল, সমাজ ও সংস্কৃতির উপর নির্ভর করে মা-বাবার ভাবনাচিন্তা ভিন্ন হয়। মনোবিজ্ঞানী মাইকেল র্যাটার বাবা-মায়েদের মানসিকতাকে চার শ্রেণীতে ভাগ করেছেন । প্রথম ধরনের বাবা-মায়েদের দেখা যায় তারা খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ ও নিয়মানুবর্তিতাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তারা ছেলেমেয়েদের ওপরে কর্তৃত্ব কায়েম করে থাকেন। একে ‘অথোরেটারিয়ান স্টাইল' বলা যায়। এদের ছেলেমেয়েরা অনেক সময় অসুখী ও সামাজিক দিক থেকে অমিশুকে হয়ে থাকে। তাদের আত্মমর্যাদাবোধও কম হয়। এই ছেলেমেয়েদের নিজেদের প্রতি আস্থা কম থাকে।
Dr. Omornath Mallik লেখক অমরনাথ মল্লিক কলকাতার আর.জি. কর, মেডিকেল কলেজ থেকে চিকিৎসাশাস্ত্ৰে স্নাতক। স্নাতকোত্তর পড়া শেষ করে বর্তমানে মনোরোগীদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের সঙ্গে যুক্ত। বিদেশে মানসিক রোগীদের চিকিৎসা ও কাউন্সেলিং-এর কাজ করেছেন। কলকাতার জে এন. রায় হাসপাতাল ও কোঠারী মেডিকেল সেন্টার ও বেলভিউ নার্সিং হােমের সঙ্গে যুক্ত মানসিক প্রতিবন্ধী অসুস্থদের পুনর্বােসন কেন্দ্ৰ দিশারীর অধিকর্তা। চিকিৎসার সঙ্গে বিজ্ঞান-বিষয়ে সুবক্তা ও লেখক হিসাবে পরিচিত। আকাশবাণী ও টিভিতে মনোবিজ্ঞান ও কাউন্সেলিং বিষয়ে নিয়মিত অনুষ্ঠান করেন। প্রথম প্রকাশিত বই—“স্বর ও শ্রুতি’, অন্যান্য বই ‘মনের কথা’ 'Drug Abuse', “মানসিক রোগীর পরিচর্যা”।