জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের লালিত স্বপ্ন ও সাধনা ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বাঙালির জাতীয় সত্তার প্রতিষ্ঠা ছিল তাঁর আজীবন সংগ্রাম। পাকিস্তানের স্বৈরাচারী সামরিক শাসকগাষ্ঠেীর বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ছিলেন গণতন্ত্রের আলোক দিশারী। বাঙালির ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আন্দোলনে তিনি ছিলেন দুঃসাহসী নেতা। পাকিস্তান জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে তার প্রতিটি বক্তব্য সেদিন তার সাহস, বিচক্ষণতা ও দূরদর্শীতার শক্তিশালী প্রকাশ হিসেবে বিবেচিত। বঙ্গবন্ধুর সেই অনলবর্ষী ভাষণ আজও ইতিহাসে সাক্ষ্য দেয়। বাংলার মানুষের প্রতি পাকিস্তানী শাসকবর্গের বিমাতাসুলভ আচরণ, বাঙালির ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আঘাতের প্রতিবাদে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বরি ছিল বঙ্গবন্ধুরই। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তিনি সংসদীয় পদ্ধতির সরকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সংসদে বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য উপস্থাপন করে তিনি প্রাণবন্ত করে তুলেছেন। সংসদ নেতা হিসেবে তাঁর উপস্থিতি ও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকার পরিচালনায় তার কর্মপ্রচেষ্টা সকলের কাছে এক উজ্জীবনী শক্তি হয়ে উঠতো। ১৯৭২ সালে গণ-পরিষদ ও ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের পর প্রথম জাতীয় সংসদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বক্তব্য, দীর্ঘ ভাষণ সদস্যদের কাছে যেমন অনুপ্রেরণামূলক ছিল, তেমনি রাজনীতির ছাত্রদের কাছেও তা শিক্ষণীয়। এ বিবেচনা থেকে এই গ্রন্থটি প্রকাশের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।