একবার বিখ্যাত সাহাবী হযরত সা’দ ইবনে আবি ওয়াক্কাস রা. অসুস্থ হয়ে পড়লেন। নবীজী তাকে দেখতে গেলেন এবং তাঁর বুকের ওপর হাত রাখলেন। তারপর বললেন, তুমি তো হৃদরোগে আক্রান্ত। তুমি এক কাজ করো; হারেস ইবনে কালদার কাছে যাও, সে চিকিৎসক। তাকে বলো, সে যেন সাতটি আজওয়া খেজুর নেয় এবং তা বিচিসহ চূর্ণ করে; অতঃপর তোমাকে পান করায়। সুনানে আবু দাউদ: হাদীস ৩৮৭১। নবীজীর হাদীস ঘাটলে তাঁর এমন অসংখ্য চিকিৎসা পরামর্শ পাওয়া যায়, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানও যেগুলোর সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছে। এর মধ্যে মধু, কালোজিরা ও খেজুরের ব্যবহার তো বেশ উল্লেখযোগ্য। নবীজীকে যাদু করার ঘটনাও আমরা জানি। যার থেকে পরিত্রাণের জন্য আল্লাহ নাযিল করলেন সূরা নাস ও ফালাক। রাসূল নিজেও পড়লেন; পরিত্রান পেলেন এবং উম্মাতকেও শিখিয়ে গেলেন এগুলো পড়ার জন্য। আর আল্লাহ বলেন, আমি কুরআনে যা কিছু নাযিল করেছি, তা হচ্ছে ঈমানদারদের জন্য তাদের রোগের উপশমকারী ও রহমত। সূরা বনী ইসরাঈল: ৮২। গবেষণা বলছে, কুরআনে প্রায় শতাধিক আয়াত আছে, যা চিকিৎসা পরামর্শের দিকে ইঙ্গিত করে। এজন্য ইবনুল কাইয়ুম আল-জাওযী রহ. তাঁর গবেষণার আলোকে বলে গেছেন, কুরআন যাকে সুস্থ করতে পারে না, আর কিছুই তাকে সুস্থ করতে পারবে না।