উজানের কৈ গল্পগ্রন্থ লেখক যাপিত জীবনের নানা রঙ ছড়িয়ে দিয়েছেন। ষোলটি গল্পের গঠন, বিষয় বৈচিত্র বেশ আর্কষণীয় এবং নান্দনিক। ‘পথিক’ গল্পের মধ্য দিয়ে লেখক কোভিড-১৯ এর ভয়াবহতা বেশ মসৃণ উপস্থাপন করেছেন। ‘মিতালী’ গল্পে একটি বায়বীয় হৃদয় বিনিময়ের সংকেত আমরা দেখতে পাই। "জুতা" গল্পে মনতান্তিক ভীতির চমৎকার উপস্থাপন পরিলক্ষিত একজন নারীর অপরাধ প্রবণতার চিত্র ‘পাখি’ গল্পে চিত্রিত। একজন সংথামী তরুণীর চরিত্রে আমরা বৃষ্টিকে দেখতে পাই। ‘পোস্টার’ গল্পে দেলোয়ার তেজদীন্ত দেশধেমের উজ্জল উদাহরণ হিসেবে উপস্থিত। দু'জন কিশোরীর বিয়ে বিষয়ক নানা উপাখ্যান খ্বিবাহ বিষয়ক বিডৃম্বনা গল্পে দৃশ্যমান। একটি অলৌকিক কান্নার উৎস খোজার একান্ত বাসনায় আরিফ সাহেব শেষ বয়সে কতটা তৎপর তা “কানা’ গল্পে সাদৃশ্যমান। নীলু এবং সুজনের প্রেমের সরল সমাধান পাওয়া যায় “কীচা-আম’ গল্পে। লতিফা শায়েদকে নিজ হাতেই খুন করে। এদিকে ফুলবানু বকুলকে নিয়ে জীবন অংগ্রামে নিমজ্জিত। অন্যদিকে তিনি বৃদ্ধাশ্রম থেকে পালিয়ে হয়ে যান মধ্যরাতের অতিথি। নাসরিনের মা হতে না পারার হাহাকার ‘পোয়াতি’ গল্পে দৃশ্যমান। সবমিলে জীবন বাস্তবতার একটি সমন্বিত প্যাকেজ 'উজানের কৈ’ গ্রন্থে উপস্থিত।
আহমদ সাইফ জন্ম ৭ ডিসেম্বর ১৯৮৬ লক্ষ্মীপুর জেলার পূর্ব দিঘলী গ্রামে। পিতা মোহাম্মদ আব্দুস শহীদ। মাতা মমতাজ বেগম। শৈশব থেকেই তিনি গাছ পালা, লতা গুল্ম, সবুজের ঘ্রাণে মুগ্ধ। ভালোবাসেন মাটি, মানুষ, নদী ও নারী। ২০২০ সালে অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় কবির প্রথম কবিতা গ্রন্থ নিদ্রাহীন পথিকের আয়ুষ্কাল। বইটি প্রকাশ করে সরলরেখা প্রকাশন। বইটির প্রচ্ছদ তৈরী করেন খ্যাতিমান শিল্পী ধ্রুব এষ। কবির দ্বিতীয় গ্রন্থ উজানের কৈ প্রকাশিত হয় ২০২১ এর বইমেলায়। গল্পগ্রন্থটিও প্রকাশ করে সরলরেখা প্রকাশন। যাপিত জীবনের নানা রশদ নিয়েই কবি সাজিয়ে তোলেন তাঁর লেখা। মানুষ পাঠের আজন্ম তৃষ্ণা তাঁর।