সুবিশাল এই ভারতীয় উপমহাদেশ। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল এবং আফগানিস্তানের কিয়দংশ নিয়ে এর ভৌগোলিক, প্রাকৃতিক ও রাজনৈতিক ইতিবৃত্ত। অথচ মৌর্য যুগের আগের কোনও প্রামাণ্য ইতিহাস নেই। বিচ্ছিন্নভাবে ছড়িয়ে রয়েছে বৌদ্ধযুগ এবং ষোড়শ জনপদের কথা। মেগাস্থিনিস বা এরিয়ানের মতন গ্রিক লেখকদের লেখা থেকে মৌর্যযুগের ইতিহাস রচিত হলেও এঁরা যে এই উপমহাদেশের ইতিহাসকে ৮/৯ হাজার বছরের পুরাতন বলেছিলেন সেকথা আধুনিক ঐতিহাসিকেরা ধর্তব্যের মধ্যেই আনেন না। এমনকি আল-বেরুনী যখন এই অঞ্চলের ইতিহাসকে পাঁচ হাজার বছরের পুরাতন বললেন সেকথাও কেউ গ্রাহ্য করলেন না। দুশো বছরের বৃটিশ শাসনের কারণে তাঁদের প্রভুত্বের প্রভাব এতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত যে আজও আমরা ম্যাক্সমুলারের তত্ত্ব থেকে বের হতে পারিনি। অথচ আর্য আগমন তত্ত্বের কোনও পাথুরে প্রমাণ নেই। জিনতত্ত্বের আলোচনাতেও রয়েছে বিস্তর গলদ। ‘আর্য’ বলতে কী বোঝায় ? ‘আর্য’ মানে কী কোনো জাতি, নাকি এটি এক সংস্কৃতি ? ‘অসুর’ বলতে কাদের বোঝায় ? পৌরাণিক ‘দেবতা’রাই বা কে ? সিন্ধুসভ্যতার মধ্যেই কি লুকিয়ে রয়েছে আর্য সংস্কৃতির চিহ্ন ? মহাভারতের কাল কবেকার ? এসব হাজারো প্রশ্নের উত্তরের ডালি নিয়ে এই গ্রন্থ ‘আর্য দিগন্তে সিন্ধু সভ্যতা’। ইতোমধ্যে ভারত থেকে প্রকাশিত রজত পাল'র এই বইটি আলোড়ন তুলেছে ওপার বাংলায়। এবার বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য প্রতিচ্ছবি প্রকাশনী থেকে আসতে যাচ্ছে এর বাংলাদেশী সংস্করণ।