রূপকথা হলো ছেলেভুলানো অবাস্তব কল্পিত উদ্ভট কাহিনি। যা বড় হবার পরেও সমপরিমাণ ভালোবাসা রয়ে যায়। শৈশব স্মৃতিচারণেও নাড়া দেয় প্রতিটি ব্যক্তির হৃদয়ে। রুপকথার গল্প মানেই লোভনীয় কিছু। ভিন্ন স্বাদের মনহরণ করার গল্প। এসব গল্প শুনতে ও পড়তে ভালোবাসে না, এমন মানুষ পৃথিবীতে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া শিশুমনে আনন্দের বড় খোরাক। বিচিত্রময় এই জগতকেও হার মানায় এসব গল্প। দাদা-দাদি, নানা-নানির মুখের কাল্পনিক গল্পগুলো কতই না তৃপ্তিকর নাতি-নাতনির কাছে। রাজা-রানি, রাজকুমার-রাজকন্যা, জিন-পরি, মৎস্যকুমারী বা শেয়াল, বাঘ, ভালুকের কল্পনীয় কাহিনি শিশুর চোখে রঙিন স্বপ্ন দেখায়। বর্তমান আধুনিক যুগে এসেও এর স্বাদ এখনো অতুলনীয়। টেলিভিশনের সামনে বসে কার্টুন দেখে আনন্দ কুড়ায় এখনো শিশুরা। এখনো গ্রামগঞ্জে মুখে মুখে এসব রূপকথার গল্প শোনা যায়। শুধু আমাদের দেশে নয়, বিশ্বের প্রতিটি দেশেই এমন কল্পকাহিনি ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। বিশ্বসাহিত্যে রূপকথার গল্প এক বিশাল ভান্ডার দখল করে আছে। রাজকুমার ও ইগলপাখি এই বইয়ের গল্পগুলো সেই কল্পনা জগতেরই গল্প। যা শিশুমনে আনন্দের সাথে শিক্ষণীয় বার্তা বহন করবে এটা আমার বিশ্বাস। প্রতিটি গল্পেই পাবে নাটকীয় স্বাদ, কৌতূহল জাগানো আকর্ষণীয় জগৎ। রাজকুমার হরিণ শিকারে বনে গেল। হরিণের পেছনে ছুটতে গিয়ে গভীর বনে পথ হারিয়ে ফেলল সে। হঠাৎ একটা বাঘ তার দিকে ছুটে এলো। বাঘ দেখে ভয়ে রাজকুমার সজোরে চিৎকার দিতে লাগল। চিৎকার শুনে গাছে বসে থাকা একটা ইগলপাখি ছোঁ মেরে পিঠে করে গাছের ওপর নিয়ে গেল। রাজকুমার প্রাণে বেঁচে গেল। অন্য একটি গল্প ‘রাফিজ ও মৎস্যকুমারী’। রাফিজ নামের এক ছোট্ট শিশু কিভাবে মৎস্যকুমারীদের রাজ্য গেল। সেখানে গিয়ে কী কী দেখল আর কীভাবেই বা ফিরে এলো। জানতে হলে পুরো গল্পটি পড়তে হবে। আরেকটি গল্প ‘মৌরাজ্যে মনু’। মনু মৌমাছির রাজ্যে গিয়ে সেই বা কী অবলোকন করল। এমন আরও দুটি গল্প পাবে এই রূপকথার গল্পের বইয়ে। চলো ভেতরে গিয়ে পড়ে দেখি পুরো গল্পগুলো।